দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (South-West Monsoon)। মৌসম ভবন জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই এ বছর দেশে ঢুকে পড়বে বর্ষা। আগামী ১৫ মে-র মধ্যে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। উল্লেখ্য, চলতি বছরে মার্চের শুরু থেকেই দাবদাহে নাজেহাল রাজ্যবাসী। বাড়ি থেকে বেরতে না বেরতেই গলদঘর্ম অবস্থা হচ্ছিল আমজনতার। অশনির প্রভাবে গত কয়েকদিন তাপমাত্রা খানিকটা নিম্নমুখী হয়েছিল। এরই মাঝে বৃষ্টির খবরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বঙ্গবাসী।
এক বিবৃতি জারি করে মৌসম ভবন জানিয়েছে, ‘১৫মে-র মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশে ঢুকতে পারে।’ এ বছর মার্চের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাপমাত্রার পারদ হু হু করে চড়েছে। কোনও কোনও রাজ্যে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় দু’মাস ধরে টানা হাঁসফাঁস গরমে যখন গোটা দেশে নাভিশ্বাস উঠছে সেই সময় বর্ষা এগিয়ে আসার খবর অনেকটাই স্বস্তির। সুতরাং হিসেব মতো দেশে বর্ষার প্রবেশে আরও কয়েকটা দিন বাকি।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শনিবার থেকে বদলাবে আবহাওয়া। তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। সপ্তাহান্তে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে। তবে উত্তরবঙ্গে সোমবার পর্যন্ত ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম বাতাস শক্তিশালী হওয়ায় উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং সিকিম উত্তরবঙ্গে আগামী চার থেকে পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা। আবহওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বাতাসে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। উচ্চচাপ বলয় তৈরি হবে। এর প্রভাবে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা। রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তবে পর্যটকদের জন্য আর কোনও সতর্কবার্তা নেই।