কাতারে ফুটবলকে ঘিরে প্রায় মাসখানেকের দক্ষযজ্ঞ শেষের দিকে। চারটি কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে দু’দিনের মধ্যেই। এরপর সেমিফাইনাল এবং তারপর খেতাবি লড়াইয়ে নেমে পড়বে দুটি দল। নাটকীয় গ্রুপ পর্বের এবং শেষ ষোলোর পর্বের হাসি-কান্নার পর মাঝে দুটো দিনের বিরতি। কোয়ার্টার ফাইনালের যুদ্ধ শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকে। বিশ্বকাপের আসল লড়াই শুরু এখান থেকেই। ৩২ দলের মধ্যে ঝাড়াই বাছাই করা আটটি দলেরই লক্ষ্য সোনালি ট্রফি। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ড-সহ বাকি দলগুলির শেষ আটের ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। শুরু হয়েছে কথার লড়াই। কেউ দিচ্ছেন হুঙ্কার। কোনও শিবিরে ঝড়ের আগের নিস্তব্ধতা।
শেষ আটের যে ম্যাচগুলির দিকে ফুটবল বিশ্ব চেয়ে রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম শুক্রবার রাতের আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ। গ্রুপ পর্ব ও নকআউট মিলিয়ে দুটো দলেরই পারফরম্যান্স অনবদ্য। একেই অঘটনের বিশ্বকাপ তার উপর কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ। কোনও দলকেই এগিয়ে রাখা যায় না। পার্থক্য শুধু একটি জায়গায়। তিনি হলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনা দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ। কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে লিও মেসির পারফরম্যান্স যেন আগুন। নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ভ্যান গাল যে মেসিকে নিশ্চুপ করিয়ে রাখতে একাধিক পরিকল্পনা রাখবেন তাতে সন্দেহ নেই। কারণ ম্যাচে মেসির প্রভাব কম থাকবে ততই সুবিধে ডাচদের। আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সির মালিককে আটকানো মানেই গোলের যাবতীয় সাপ্লাই লাইন কেটে দেওয়া। এমন কঠিন কাজ খুব কম দলই করতে পারে। বিপক্ষের ভুরি ভুরি স্ট্যাটেজির উপর জল ঢেলে দিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করেন না লিও।
ডাচ শিবিরে মেসিকে নিয়ে কতটা প্ল্যানিং, প্লটিং চলছে? প্রশ্ন করা হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের ডিফেন্ডার নাথান একে-কে। তাঁর উত্তর অবাক করার মতোই। তাঁর দাবি, কোয়ার্টার ফাইনালের আগে নেদারল্যান্ডস দলে মেসিকে নিয়ে সেভাবে কেউ উচ্চবাচ্য করছে না। অন্তত বুধবার পর্যন্ত মেসিকে নিয়ে কোনওরকম আলোচনাই নাকি হয়নি! নাথান বলেছেন, “মেসি সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ওকে আটকানো ভীষণ কঠিন। মাঝে কয়েকটা দিন রয়েছে। ওকে নিয়ে এখনও কথা হয়নি। মেসিকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত ভাবছি না। শুধু তো মেসি নন, ওদের দলে আরও কয়েকজন দুর্দান্ত ফুটবলার রয়েছেন। দারুণ একটা ম্যাচ দেখতে চলেছি আমরা।”