শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল গিয়েছে সন্দেশখালি। সেই সফরের মধ্যেই ফের ছড়ায় উত্তেজনা। শাহজাহান শেখের অনুগামীর মাছের ভেড়ির আলাঘর পুড়িয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যেই সন্দেশখালি পৌঁছেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল। বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন কমিশনের সদস্যেরা। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে দু’দিন আগেই বিবৃতি দিয়েছিল মানবাধিকার কমিশন। শীঘ্রই যে তারা এই দ্বীপ এলাকায় আসবে, তা-ও জানানো হয়েছিল। সেই মতোই শুক্রবার এল এই কেন্দ্রীয় কমিশন।
বৃহস্পতিবার শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিনের মাছের ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এ বার কাছাড়ি এলাকায় শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত তৈয়েব খানের মাছের ভেড়ির আলাঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, তৈয়েব এলাকার মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি করেছিলেন। কাউকে কোনও টাকাপয়সা দেননি। চাইতে গেলে হুমকি দিতেন।
আরও অভিযোগ, ‘ঘর দেবে বলে টাকা খেয়েছিল…, ভোট দিতে গেলে হাত থেকে স্লিপ কেড়ে নেয় ওরা… ‘এই সব অভিযোগ তুলেই ফুঁসছে সন্দেশখালির বেড়মজুর। শুক্রবার সকালে প্রবল বিক্ষোভের ছবি দেখা গেল এলাকায়। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি ও তোয়াব মোল্লার ভেড়ির আলাঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কারও হাতে লাঠি, কারও হাতে ঝাঁটা। এভাবেই রাস্তায় নেমেছেন মহিলারা। এক মহিলা বলেন, ‘শাহজাহানের ভাই সিরাজের জন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি। ঘর ভাঙার পর বলেছিল কোর্টেও যাবি না, থানাতেও যাবি না।’ তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির নির্দেশে এসব হচ্ছে বলে দাবি করছেন তাঁরা। অভিযোগ বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছে ভেড়ি।