বাম আমলে গুন্ডাদের নামে এলাকার পরিচিতি ছিল: অর্জুন সিং

ব্যারাকপুর : ‘বামআমলে গুন্ডাদের নামে এলাকার পরিচিতি ছিল। এখন ওরা বড় বড় কথা বলছে।’ বুধবার রাতে জগদ্দল বিধানসভা সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় হাজির হয়ে বামেদের এভাবেই নিশানা করলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শ্যামনগর কাউগাছি ফিডার রোডের সভায় বামেদের নিশানা করে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘বাম জমানায় বিরোধীরা মিটিং মিছিল করতে পারত না। মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারতো না। এখন বাংলার পরিস্থিতি বদলেছে। মানুষ নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন।’ সাংসদের দাবি, তৃণমূল সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। দুর্নীতিতে যুক্তদের দল থেকে বহিস্কার করা হচ্ছে। সাংসদের কথায়, কেন্দ্রের সরকার প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না। তবুও মুখ্যমন্ত্রী বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এদিনের সভায় হাজির ছিলেন জগদ্দল বিধানসভার সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান গোলাম কাদির, ব্যারাকপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ভারতী সেনাপতি, জগদ্দল-আতপুর টাউন তৃণমূল সভাপতি হিমাংশু সরকার, কাউগাছি-২ পঞ্চায়েতের প্রধান অমল মণ্ডল, কাউগাছি-১ তৃণমূল সভাপতি স্বপন মণ্ডল, কাউগাছি-১ পঞ্চায়েতের সদস্য অশোক সরকার, ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলর সোমনাথ তালুকদার, তৃণমূল নেতা সঞ্জয় সিং, যুব নেতা অমিত শর্মা, কৌস্তভ হোড়ে প্রমুখ। অন্য দিকে এদিন নৈহাটি পুরসভার গেটেও তৃণমূলের তরফে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সাংসদ অর্জুন সিং সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বামেরা ইদানীং হঠাৎ জেগে উঠেছে। কিন্তু বাংলার মানুষ ৩৪ বছর অত্যাচারের কথা এখনও ভোলেনি।’ এদিনের সভায় হাজির ছিলেন দমদম-ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি তাপস রায়, নৈহাটির বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, নৈহাটির পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভা শেষে এদিন সাংসদ হাজির হন ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে আক্রান্ত দলীয় কাউন্সিলর সত্যেন রায়কে দেখতে যান। হাসপাতালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, বামআমলে সত্যেন ও তাঁর পরিবারকে অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল। এদিন যারা সত্যেনকে মারধর করেছে, তারা বাম আমলে সিপিএম করত। তিনি বলেন, ঘটনাটি দলকে জানানো হয়েছে। কিন্তু যারা মারধরে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × three =