ডুরান্ড কাপের ফাইনালে বেশ কড়া টক্কর দেখা গেল প্রথমার্ধ্বের ৪৫ মিনিটে। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয়। এদিকে এদিন ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ দুর্দান্ত সামলাতে দেখা গেল সাউল ক্রেসপো এবং বোরহাকে। সেকারণে লেফট উইংয়ে মন্দার স্বাধীনভাবে খেলতে পারছিলেন। ফলে আক্রমণে সহজেই উঠতে পারছিল ইস্টবেঙ্গল।
এই ম্যাচে প্রথম একাদশে জেসন কামিন্সকে রাখেননি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস কোচ জুয়ান ফেরান্দো। বদলে সুযোগ দিয়েছিলেন হেক্টর ইউস্তে, হুগো বুমোস, দিমিত্রি পেত্রাতোস ও আর্মান্দো সাদিকুকে। কারণ চলতি ডুরান্ডে পেনাল্টি বাদে এখনও একটাও গোল করতে পারেননি কামিন্স। ফলে তাঁকে এবার পরের দিকে রেখেছেন ফেরান্দো।
তবে ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিট দেখলে আক্রমণের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে লাল হলুদ। তাদের আক্রণ পেনাল্টি বক্স পর্যন্ত গেলেও সেটাকে গোলে রূপান্তরিত করা হচ্ছে না। উল্টোদিকে মোহনবাগান কিছুটা আক্রমণ করলেও তাদের আক্রমণে ঝাঁঝ দেখা যায়নি।তবে তারই মাঝে ঘন ঘন আক্রমণের ঢেউ তুলে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে কড়া চ্যালাঞ্জের সামনে ফেলতে দেখা গেছে মোহনবাগানকে। তবে ৩৩ মিনিটে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। চোট পান জর্ডন এলস।তাঁকে তুলে নিয়ে নামানো হয় লুকাসকে। এরপরই ৩৭ মিনিটে মোহনবাগানের সামনে গোল করার একটা সুবর্ণ সুযোগ আসে।অনিরুদ্ধ থাপা দুর্দান্ত একটা ক্রস বাড়ান আশিস রাইকে। আশিস সেখান থেকে মাইনাস করেন সাহালকে। এই ক্রস থেকে গোল হতেই পারত। কিন্তু গোলপোস্টের অনেকটা দুরেই শট মারেন সাহাল।
এরপরই ৪৩ মিমিটে গোল করার সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। নন্দকুমার দুর্দান্ত একটা হেড করলেও তা মোহনবাগান ফুটবলারের গায়ে প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে।
এরপর প্রথার্ধ্বের ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটেই হলুদ কার্ড দেখেন দুই ইস্টবঙ্গল প্লেয়ার।মাঝমাঠে সাদিকুকে পা ধরে নিচে নামিয়ে দেন সাউল ক্রেসপো। রেফারির হস্তক্ষেপে অবশেষে ব্যাপারটা মিটে যায়। এরপরই ইস্টবেঙ্গলের ক্রেসপো এবং বোরহাকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়।