ডার্বির উত্তেজনায় ফুটছে দুই দলের সমর্থকরা। প্রতিবারের ন্যায়ে এবারও ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে টিকিটের হাহাকার। টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। কোয়ার্টার ফাইনালের ডার্বি, দুই দলই জয়ের হ্যাটট্রিক করে মাঠে নামবে। ফলে সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনাও বেশি।
এই উন্মাদনাকেই সামাল দিতে ব্যর্থ ডুরান্ড কাপ কমিটি। গত বেশ কয়েক মরশুমে ডুরান্ড কাপের টিকিট বন্টন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ডার্বি আয়োজন হলে টিকিট নিয়ে আরও বিশৃঙ্খলতা চোখে পড়ে। এই বছরও চিত্র বদলালো না। ডুরান্ড কমিটির প্রতি ক্ষুব্ধ দুই দলের সমর্থকরাই। শুক্রবার রাত থেকেই লাইন দিতে শুরু করেছিলেন সমর্থকরা। শনিবার সকাল ১১ টা থেকে অফলাইন টিকিট দেওয়া শুরু হয় দুই দলের ক্লাব তাঁবুর বক্স অফিসে। সদস্য সমর্থকরা লাইন দিয়ে জমায়েত করেন। সকাল থেকে সুষ্ঠু ভাবেই টিকিট বন্টন চলছিল। ইস্টবেঙ্গলের অপেক্ষা মোহনবাগানে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেল। বিকেল গড়াতেই টিকিটের হাহাকার শুরু। সন্ধ্যের দিকে বহু সদস্য, সমর্থকেরা টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন।
কোয়ার্টার ফাইনালের ৬২,৪৪০ টি টিকিটের মধ্যে ৩৬,৪০৩ টি টিকিট কলকাতার চার ক্লাব অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান এবং ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে ভাগ করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে স্পনসর, পার্টনার, রাজ্য সরকার, আর্মি এবং আইএফএও। বাকি ২৬,০৩৭ টি টিকিট বিক্রির জন্য। তার মধ্যে ১০৭২৫ টি টিকিট ইতিমধ্যেই কিনে নিয়েছে চার ক্লাব এবং আইএফএ। ফলে অফলাইন, অনলাইন মিলিয়ে টিকিট বিক্রি হবে মোট ১৫,৩১২ টি। টিকিট না পেয়ে মোহনবাগান তারকা জেসন কামিন্সও আফসোস করে গেলেন সাংবাদিক সম্মেলনে। বললেন, “সমর্থকদের মতো আমিও টিকিট খুঁজছি। আমাকে কেউ দিতে পারেন টিকিট?” যতই টিকিট নিয়ে হাহাকার ও বিশৃঙ্খলা থাকুক, ডুরান্ড কাপ ডার্বির আগে সমর্থকদের সংঘাত না করারও অনুরোধ জানালেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত।

