শাঁখা-পলা খুলতে রাজি না হওয়ায় বসতে পারেননি টেটে, হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

কলকাতা: টেটে বসার জন্য বধূকে বাধ্য করা হয়েছিল শাঁখা-পলা খুলতে। বিবাহিত মহিলার কাছে যা অত্যন্ত সংবেদনশীল। এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ব্যক্তিগত ভাবাবেগ, বিশ্বাস।শাঁখা-পলা খুলতে রাজি না হওয়ায় পরীক্ষাও দিতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে এবার মামলা গড়াল কলকাতা হাই কোর্টে। দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।

গত ১১ ডিসেম্বর বেশ কয়েক বছর পর রাজ্যে টেট হয়। কড়া নিরাপত্তাবেষ্ঠনীতে নেওয়া হয় পরীক্ষা। সেখানেই মৌমিতা চক্রবর্তী নামে এক বধূকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য শাঁখা, পলা খুলতে বলা হয় বলে অভিযোগ।  টেট পরীক্ষার আয়োজনে এই বাড়াবাড়ি নিয়েই তিনি আদালতের দ্বারস্থ। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।মামলাকারীর অভিযোগ, টেট পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হিন্দু বধূদের হাতের শাঁখা-পলা খুলতে হয়েছে। যাঁরা খোলেননি তাঁরা ঢুকতে পারেননি। পরীক্ষা দিতে পারেননি। মামলায় মামলাকারীর তরফে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদিকা পারমিতা দে’র দাবি, কমিশনের  সিদ্ধান্তের ফলে টেট পরীক্ষা দিতে পারেননি মৌমিতা। তাঁর যে ক্ষতি হল তা কে মেটাবে? এই নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান গৌতম পালের বিরুদ্ধে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মামলাকারী।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + nine =