গত ২৬ মে রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলেও এখনই ইঞ্জিনিয়ারি, আর্কিটেকচার ও ফার্মেসির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়ুয়ারা ভর্তি হতে পারছেন না। কারণ জাতীয় আর্কিটেকচার কাউন্সিল ও জাতীয় ফার্মেসি কাউন্সিল তাদের নতুন অনুমোদন, পুরনো অনুমোদন পুনর্নবীকরণ সহ বেশ কিছু কাজ শেষ করবে ১৫ জুন। এদিকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সর্বভারতীয় নিয়ামক সংস্থা এআইসিটিই ওই কাজ শেষ করবে ৩০ জুন। তারপরেই যাবতীয় ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই খবর সামনে আসতেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা সরব হয় যাদবপুর থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রসঙ্গত, এরাজ্য ও ভিনরাজ্য মিলে এবছর প্রায় এক লক্ষ পরীক্ষার্থী জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়েছিল। সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় গত ২৬ মে।
কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তে কড়া সমালোচনা করতে শোনা গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে। বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক বলেন তিনি। কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির ছাত্র সংগঠন ফেটসুও। কেন্দ্র আসলে ওইসব করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও পিছনে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির ক্যাম্পাসের পড়ুয়াদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক তাদের অনুমোদন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চাইলেই এগিয়ে আনতে পারত। কিন্তু শুধু আর্থিক মুনাফা লাভ ও একচেটিয়া স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে পড়ুয়া ও পঠনপাঠন দুইকেই বিড়ম্বনায় ফেলছে।