দীর্ঘদিন ধরেই বাসন্তী হাইওয়ের (Basanti highway) পাশে ফাঁকা জায়গায় ফেলে যাওয়া হচ্ছিল মৃতদেহ। অন্যত্র খুন করে পুলিশি নজরদারি এড়িয়ে শহর থেকে দূরে গোপনে এইসব এলাকায় দেহ ফেলে যাওয়াটা একটা রেওয়াজ করে নিয়েছিল পেশাদার খুনিরা। সম্প্রতি বাগুইহাটি কাণ্ডের পর, বিশেষ করে এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। সেই লক্ষ্যেই বাসন্তী হাইওয়েতে দিন ও রাতে নাকা চেকিং এর ব্যবস্থা করল পুলিশ। দিন ও রাতে নাকা চেকিং ও পুলিশের সঙ্গে থাকবে সিসিটিভির নজরদারি। সম্প্রতি বাগুইহাটি দুই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে হাড়োয়া থানার কুল্টি বাসন্তী হাইওয়ে পাশ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র অতনু দে’র। অন্যদিকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বাসন্তী হাইওয়ের নযাশ জাট থানার রাজবাড়ি শিরিষতলা মেছোঘেরি থেকে অভিষেক নস্করের দেহ উদ্ধার হয়। তার ১৪ দিন কেটে যাওয়ার পরে পুলিশ এই দেহ শনাক্ত করতে সমন্বয়ের অভাব উঠেছে। এই নিয়ে খোদ রাজ্য পুলিশের কাজ নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। একদিকেই মৃত্যু নিয়ে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল রাজ্যের পুলিশকে দায়ী করেছিলেন। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার উত্তর ২৪ পরগনার বাসন্তী হাইওয়ের মিনাখাঁ, হাড়োয়া, ন্যাজার খানা এলাকায় রাতের অন্ধকারে যেমন নাকা চেকিং করবে পুলিশ। গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করা হবে। পাশাপাশি দিনের বেলাতেও পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। এছাড়া হাড়োয়ার ঘুসিঘাটা থেকে সন্দেশখালি সরবেড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার বাসন্তী হাইওয়ে বিভিন্ন রাস্তার উপরে সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। সব রকম নিরাপত্তার চাদরের মুড়ে ফেলতে চাইছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি একটি মনিটরিং টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর।