কলকাতা: প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে দিল্লিতে। তারই সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে রাজধানী। যার জেরে দৃশ্যমানতা নেমে এসেছে মাত্র ২০০ মিটারে। সে কারণেই হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে দিল্লিগামী ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ধীরে চালানোর জন্য অন্ততপক্ষে ৫-৭ ঘণ্টা দেরিতে ট্রেনগুলি রাজধানীতে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
রেলওয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার জেরে দেরিতে চলছে ২৯টি ট্রেন, যেগুলির মধ্যে রয়েছে কলকাতা এবং হাওড়া থেকে রাজধানীর উদ্দেশে রওনা হওয়া ট্রেনগুলিও। ফলে বাংলা থেকে যেসব যাত্রীরা রেলপথে দিল্লিতে যাচ্ছেন, তাঁদের বিপুল ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শিয়ালদহ থেকে ছাড়া রাজধানী এক্সপ্রেস সাড়ে ৫ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। সাড়ে ৪ ঘণ্টা দেরিতে চলছে হাওড়া থেকে ছাড়া রাজধানী এক্সপ্রেস। হাওড়া থেকে রাজধানীগামী পূর্বা এক্সপ্রেস, যেটির দিল্লি পৌঁছনোর কথা সকাল ৮টায়, সেটি ৭ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। যাত্রাপথে নতুন করে দেরি না হলেও দুপুর ৩টের আগে কোনওভাবেই সেটি দিল্লি পৌঁছাতে পারবে না বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বাংলা থেকে দিল্লিগামী ট্রেনগুলি দেরিতে চলার অর্থ হল, দিল্লি থেকে কলকাতা ও হাওড়া রওনা হতেও দেরি হবে ট্রেনগুলির। মৌসম ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী আরও কয়েকদিন কুয়াশা-পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। ফলে দিল্লি থেকে রাজ্যে ফিরতে, কিংবা বাংলা থেকে দিল্লি যেতে যাত্রীদের আরও বেশ কিছুদিন হয়রানির শিকার হতে হবে বলে অনুমান।
দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম সহ সমগ্র উত্তর ভারত জুড়েই কুয়াশার দাপট অব্যাহত। সোমবার সকালে দিল্লিতে দৃশ্যমানতা নেমে এসেছে ২০০ মিটারে। ফলে আলো জ্বালিয়ে অত্যন্ত ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তরফে এদিন ভোরে কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। অন্তত ৪০টি বিমানের সফরসূচি পরিবর্তিত হয়েছে। কিছু বিমানের যাত্রাপথও পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।