রাতের শহরে ফের মদ্যপ চালকের তাণ্ডব। এক নাবালিকাকে ধাক্কা মারল সবজি বোঝাই পিক আপ ভ্যান। ধাক্কা মারার পরও দাঁড়ায়নি গাড়ি। কিশোরীর দেহ চাকায় জড়িয়ে যায়, সেই অবস্থাতেই কয়েক মিটার টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় ঘাতক গাড়ি। দুর্ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও স্থানীয় বাসিন্দারা পিক অ্যাপ ভ্যানটিকে ধরে ফেলে। এমনকি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাড়ি উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয়রা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। গোটা ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তবে গাড়ির চালককে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কামালগাজির কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। ঢালী পাড়ার বাসিন্দা বছর তেরোর প্রিয়া প্রামাণিক মায়ের সঙ্গে টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। সাইকেল নিয়ে সাহা পাড়া ক্রসিং-এ দাঁড়িয়েছিল ওই কিশোরী। হঠাৎ সিগন্যাল ভেঙে দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসে একটি সবজি বোঝাই ৪০৭ ট্রাক। ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ওই কিশোরীকে। ধাক্কা মেরে বেশ কিছুদূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে রক্ষা পায় কিশোরীর মা। দুর্ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে গাড়িটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, স্থানীয় যুবকরা গাড়িটিকে ধাওয়া করে পাটুলি ক্রসিং এর কাছে গিয়ে ধরে ফেলে। গাড়িতে থাকা বাকিরা পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় চালক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেই ধারনা তাঁদের। সঙ্গে এও জানানো হয়েচে, কিশোরী রাস্তার একদম ধারে ছিল। দুর্ঘটনা ঘটার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। কিন্তু গাড়িটি হঠাৎ সিগন্যাল ভেঙে কিশোরীকে ধাক্কা মারে। কিশোরীর পেটের উপর দিয়ে চলে যায় ট্রাকটি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ এসে গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয়রা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের দাবি ওই নাবালিকা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি তারা ছাড়বে না। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, আহত ওই কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনার পরই তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।