জল্পনা ছিল, আর হেডস্যারের দায়িত্বে থাকবেন না। ২ বছর আগে যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, ভারতকে আইসিসি টুর্নামেন্টে সাফল্য দেওয়ার স্বপ্নই দেখেছিলেন। ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। কিন্তু খেতাবের স্বপ্ন সেই অধরাই থেকে গিয়েছে। জল্পনা ছিল, সেই যন্ত্রণা নিয়েই ভারতীয় ক্রিকেটে দ্রাবিড় সভ্যতার অবসান ঘটতে চলেছে। সব গুঞ্জন উড়িয়ে আবার স্টান্স নিলেন রাহুল দ্রাবিড়। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের কোচ হিসেবে চুক্তি বাড়ল দ্য ওয়ালের।
বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর শোনা যাচ্ছিল, দ্রাবিড় চুক্তি বাড়িয়ে কোচের পদে থেকে যেতে রাজি নন। বিশ্বকাপ পর্যন্তই ছিল বোর্ডের সঙ্গে তাঁর চুক্তি। টিমকে বিশ্বকাপ না দিতে পারলেও, কোচ হিসেবে দ্রাবিড় যে যথেষ্ট সফল, সন্দেহ নেই। তাঁর এই দু’বছরের মেয়াদে ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে, বিশ্বকাপের ফাইনালও খেলেছে। যে কারণে বোর্ড দ্রাবিড়কেই আরও একটা বছরের জন্য কোচ হিসেবে চেয়েছিল।
দল নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগরকর, ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাও দ্রাবিড়কে কোচ রেখে দেওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছেন। শুধু সম্মতি মিলছিল না দ্রাবিড়ের। এর আগেও তিনি বলেছিলেন, কোচের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না। তাই ভাবা হচ্ছিল, নতুন কোনও মুখকে কোচ হিসেবে তুলে ধরবে বিসিসিআই। সেই মতো আশিষ নেহরাকে ভারতীয় টি-২০ টিমের কোচ হওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি। যে কারণে বোর্ড দ্রাবিড়েই আস্থা রাখার চেষ্টা করেছে। আরও একটা যুক্তি এর পিছনে কাজ করেছে। আগামী বছর টি-২০ বিশ্বকাপ। দ্রাবিড় যেভাবে পুরো টিমকে চেনেন, তাঁর পক্ষেই দল পরিচালনা করা সহজ হবে। যদিও রাহুল দ্রাবিড়ের নতুন চুক্তির মেয়াদ কতদিনের, তা অবশ্য বোর্ড পরিষ্কার করে জানায়নি। দ্রাবিড়ের পাশাপাশি বিক্রম রাঠৌর, টি দিলীপ ও পারশ মামব্রের সঙ্গেও চুক্তি বাড়ানো হল।
রাহুল দ্রাবিড় বলছেন, ‘গত ২টো বছর আমরা একসঙ্গে চেষ্টা করেছিলাম। ভালো-খারাপ থাকেই। তবে এই দুটো বছর টিম আমাকে ভীষণ সাহায্য করেছে। ড্রেসিংরুমে যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য গর্বিত। প্রতিভা আর স্কিলের মিশ্রণে টিম পারফর্ম করেছে। বোর্ডকে ধন্যবাদ আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য। বিশ্বকাপের পরে আমরা আবার নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে শুরু করেছি। সেই ধারা বজায় থাকবে।’