রাজভবনের ‘পিস রুম’-এর ব্যবহারিক দিক নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বসলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও। তাঁর মতে, ‘রাজ্যপাল তাঁর মতো করে কিছু একটা করেছেন। কিন্তু তাঁর সীমাবদ্ধতা আছে। তিনি সরকারকে নির্দেশ দিতেই পারেন, কিন্তু সেই নির্দেশ সরকার মানবে, তার কী মানে আছে?’ যে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও। এমনকী, বিজেপির একাংশের ধারনা, রাজভবনের ‘পিস রুম’ বাংলার সন্ত্রাস পরিস্থিতিতে সার্বিক কোনও বদল আনতে পারবে না। এদিকে বিজেপিও কিছুদিন আগেই একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। যেখানে রাজ্যের যে কোনও প্রান্ত থেকে ফোন করে আক্রান্তরা সাহায্য চাইতে পারেন।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নকে ঘিরে অশান্তির ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যেই সরব হয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ইতিমধ্যে তিনি ভাঙড় ও ক্যানিংয়ের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন। এরপরই শনিবার রাজবভনে ফিরেই ‘পিসরুম’ খোলার কথাও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় রাজভবন। সেখানে বলা হয়েছে, ভোট সংক্রান্ত অশান্তি ঠেকাতে রাজভবনে অভিযোগ জানানো যাবে। রাজভবন থেকে সেই অভিযোগুলি সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এবং রাজ্য সরকারের কাছে।
এদিকে ‘পিস রুম’ খোলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একশোর বেশি অভিযোগ এসেছে বলে রাজভবন সূত্রে খবর। প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজভবনের দ্বারস্থ হয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তও। যদিও রবিবার রাজভবনের এই তৎপরতাকে কটাক্ষ করা হয় শাসকদল তৃণমূলের তরফ থেকে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, ‘সিভি আনন্দ বোস আসলে নিজেকে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ জোটের চেয়ারম্যান ভাবছেন। ওঁর কোনও এক্তিয়ার নেই পিস রুম খোলার। রাজ্যপাল বিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।’ একইসঙ্গে কুণালের সংযোজন, ‘রাজ্যপালের সাংবিধানিক পদকে সম্মান জানিয়েই বলছি, উনি বিরোধীদের অক্সিজেন দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।’ এদিকে সিপিএমও বিশেষ ভরসা রাখছে না রাজভবনের পিসরুমে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়,’রাজভবনের পিস রুমের আইনি বৈধতা কী আছে, আমরা জানি না।‘ এরই পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, রাজীব সিনহাকে রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের চেয়ারে কার নির্দেশে বসিয়েছেন তা নিয়েও।