ব্যথা-বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ আমরা সকলেই জানি। কিন্তু জানেন কি পিঠ, হাত ও কাঁধের ভীষণ ব্যথাও কখনও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।না পিঠ বা কাঁধে ব্যথা হলেই সেটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ভেবে ভয় পাওয়ার কারণ যেমন নেই, তেমনই বিষয়টাকে অবহেলাও করবেন না।
শ্বাসকষ্ট হাঁপিয়ে যাওয়া– অনেক সময় দেখা যায় লোকজন অল্পেই হাঁপিয়ে উঠছেন। সিঁড়ি দিয়ে একটু উঠলেই বুকে চাপ বা বুক ধড়ফড় করছে। ৩০ এর পর থেকে এমন উপসর্গ দেথা দিলে অবশ্যই বাড়তি সতর্ক হন। অনেক সময় অতিরিক্ত ক্লান্তিও হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘাম- অনেকেরই ঘাম বেশি হয়। তবে শরীরে অস্বস্তি, গলগলিয়ে ঘাম কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত ডায়াবেটিক বা হার্টের সমস্যা আছে, হাই প্রেশারের রোগী, কোলেস্টরলের রোগীদের এমন সমস্যা হতে থাকলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান।
মাথা ব্যথা- নিয়মিত মাথা ব্যথা, বুক ধড়ফড়, শরীরে অস্বস্তি এগুলো কোনওটাই অবহেলা করবেন না। বিশেষত ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীরা।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া- কোনও কারণ ছাড়া হঠাত্ খুব অল্প সময়ের জন্য অজ্ঞান হয়ে গেলেন কেউ। বিষয়টা একেবারেই হেলাফেলা করার নয়। এমন হলে রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁর পরামর্শ মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান।
অনিয়মিত পালস রেট- দৌড়ঝাঁপ, ব্যায়াম, হাঁটাহাটি করলে পালস রেট বাড়ে। কিন্তু এগুলো কোনওটাই না করা সত্ত্বেও পালস রেট ঘনঘন কমা-বাড়া করলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। কারণ, সেটা হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
বিপদ এড়াতে স্বাস্থ্যকর খাওয়া, নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন খুবই প্রয়োজন। আর পরিবারে যদি হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস থাকে তাহলে ৩০-এর পর থেকেই চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া, স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুবই জরুরি।