পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক চিকিৎসকের দেহ। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হরিদেবপুরের শীলপাড়া রামচন্দ্রপল্লি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম শৈলেন কুণ্ডু। বছর ৬০-এর শৈলেনবাবু পেশায় ছিলেন দাঁতের চিকিৎসক।তবে সম্প্রতিক সময়ে আয় নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন শৈলেনবাবু। এদিকে আবার এ খবরও মিলছে যে ফলে সাম্প্রতিক সময়ে শৈলেনবাবুর স্ত্রীয়ের সঙ্গে সম্পর্কও খুব একটা ভাল ছিল না। আদতে গত কয়েক বছরে ওই চিকিৎসকের আয় অনেকটাই কমে গিয়েছিল। ফলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যায়। আর সেই অনটন নিয়েই স্ত্রী তাঁর সঙ্গে নিত্য অশান্তি করতেন বলে জানান প্রতিবেশীরা। এমনকি মারধরও করতেন বলে অভিযোগ। মাঝে এক-দু’বার প্রতিবেশীদের কাছে সে কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসক। প্রতিবেশীরা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছিলেন।
মাঝেমধ্যেই বাড়িতে অশান্তি হত। প্রতিবেশীরাও সে কথা জানতেন। ফলে এদিনের এই ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধে। পুলিশের তরফ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে আদৌ এটি খুন নাকি আত্মহত্যা সে ব্যাপারেও।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে এলাকারই একটি পুকুরে দেহ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথমে দূর থেকে তাঁরা বুঝতে না পারলেও, ভাল করে দেখে তাঁরা শনাক্ত করেন। এরপরই খবর দেওয়া হয় হরিদেবপুর থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্ত্রীই তাঁকে খুন করে রাতে দেহ পুকুরে ফেলে দিয়েছে। এদিকে হরিদেবপুর থানা সূত্রে খবর, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে পুলিশ। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এদিকে হরিদেব থানা সূত্রে খবর, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্ত্রীকে আটক করেছে।