এ যেন বাস্তবিকই ড. জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইডের ঘটনা। দিনে চিকিৎসক আর রাতে নিরাপত্তা পরামর্শদাতা। আর এই চিকিৎসার নাম করেই এক মহিলাকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলেন কড়েয়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা।
কড়েয়া থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তির নাম কাজি হাফিজুল হাসান। পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। কড়েয়া এলাকায় তার চেম্বারও রয়েছে। রাতে বিভিন্ন আবাসনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরামর্শ দিত সে। ওই এলাকারই এক মহিলার অভিযোগ, তিনি চিকিৎসা করাতে যান। চিকিৎসার নাম করেই চেম্বারের দরজা আটকে মহিলাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। আর এই ঘটনায় মহিলার অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সে। আর এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার অভিযুক্ত চিকিৎসক তাঁকে ধর্ষণ করে। মহিলা আপত্তি করলে কাজি হাফিজুল ওই মহিলাকে হুমকিও দেয়। শেষ পর্যন্ত মহিলা কড়েয়া থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।