জানেন কি, অতিরিক্ত ভিটামিন শরীরে সমস্যা তৈরি করতে পারে?

শরীর ভালো রাখতে, রোগ প্রতিরোধে ভিটামিনের গুরুত্ব অপরিসীম। খাবারে থাকা ভিটামিনের পাশাপাশি শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হলে, বাইরে থেক ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু জানেন কি মুড়ি-মুড়কির মতো ভিটামিন খাওয়াও ভালো নয়। শরীরে সমস্যা তৈরি করতে অতিরিক্ত ভিটামিন।

এ, বি, সি, ডি, কে, ই-সহ একাধিক ভিটামিন রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বি-এর একাধিক ভিটামিন। বি, বি১ থেকে বি১২। এই সমস্ত ভিটামিন কোনওটা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কোনওটা হাড় মজবুত করতে আবার কোনওটা শরীর সুস্থ রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাবাড়াতে খুব জরুরি।

অতিরিক্ত ভিটামিন ক্ষতিকর হতে পারে


মনে রাখতে হবে, ভিটামিন সাধারণত দু’ধরনের হয়। জলে দ্রবণীয় এবং স্নেহপদার্থে দ্রবণীয়। যে সমস্ত ভিটামিন প্রথম শ্রেণির মধ্যে পড়ে, তাদের কোনওটির অতিরিক্ত সেবনে খুব একটা সমস‌্যা হয় না। কারণ অতিরিক্ত অংশটুকু প্রস্রাবের মাধ‌্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ভিটামিন বি-এর অন্তর্গত সব শ্রেণি, ভিটামিন সি এই তালিকায় পড়ে। অন‌্যদিকে ‘ফ‌্যাট সলিউবল’ অর্থাৎ স্নেহপদার্থে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলি হল এ, ডি। শরীরে এগুলি বেড়ে গেলে অতিরিক্ত অংশ বেরিয়ে যেতে পারে না। শরীরেই থেকে যায়। তখন নানা ধরনের সমস‌্যা দেখা দিতে পারে।যেমন ভিটামিন এ বেড়ে গেলে চোখ এবং ত্বকের নানাবিধ অসুখ দেখা দেয়। পাশাপাশি তন্দ্রাচ্ছন্নতা দেখা দেয়। খাবার ইচ্ছা কমে যাওয়া, বমি ভাব, হাতে-পায়ে ব‌্যথা, হাড়ের ব‌্যথা, আর্থারালজিয়া প্রভৃতি হয়।
শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি হয়ে গেলে রোগীর কিডনি স্টোন-এর সমস‌্যা বাড়ে। ডায়েরিয়া, গা-হাত পায়ে ব‌্যথা, দুর্বলতা প্রভৃতিও হয়।

প্রতিটি ভিটামিন শরীরের কাজে লাগে। তাই প্রতিটিই জরুরি। ভিটামিনের কমতি বা বাড়তি, শরীরে কোনওটাই যাতে না হয়, ‘ব‌্যালান্স’ বজায় রাখা সম্ভব যাতে হয়, তার জন‌্য সবচেয়ে জরুরি হল সুষম আহার করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 5 =