সেমিফাইনালের আগে চোট নিয়ে প্রবল আশঙ্কা জকোভিচের

১৬ নম্বর কোর্ট বুক করা ছিল তাঁর নামে। ঘণ্টা দেড়েক প্র্যাক্টিস করার কথাও ছিল। কোচও তৈরি ছিলেন স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে। কিন্তু প্লেয়ারকেই দেখা গেল না। মেলবোর্ন পার্কে যা দেখে ফিসফাস, সেমিফাইনালে নামতে পারবেন তো? যদি তিনি খেলতে না পারেন, বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামে সবচেয়ে বড় অঘটন হবে। অবশ্য তেমন আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বলা হচ্ছে, এটাই তাঁর স্ট্র্যাটেজি। বিশ্রাম নাও, কোর্টে নিংড়ে দাও নিজেকে। সেই পথে হেঁটেই কি ১০তম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেতাব জিতবেন নোভাক জকোভিচ?

৩৭ বছর বয়স হয়েছে জোকারের। এই বয়সে নিজের ফর্ম ধরে রাখা খুবই কঠিন কাজ। সেটা ভালো মতোই জানেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা। ২০২৩ সালে এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে গিয়েই চোট পেয়েছিলেন হ্যামস্ট্রিংয়ে। সেই একই চোট আবার পেয়েছেন এ বারের টুর্নামেন্টেও। আলকারাসের বিরুদ্ধে খেলার সময় কোর্টে চিকিৎসাও করাতে হয়েছিল। তার পরও ম্যাচটা জিতেছেন দাপিয়ে। শুক্রবার সেমিফাইনালে এই জোকারের খেলা আবার আলেজান্ডার জেরেভের বিরুদ্ধে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে তিনি প্র্যাক্টিস বাতিল করে দেন।

ঘটনা হল, ২ বছর আগে চোট পাওয়া সত্ত্বেও কিন্তু সিসিপাসকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন জকোভিচ। ওই জয়ের পর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। চোটের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যে মানসিক লড়াই করতে হয়, সেটা যে কতটা কঠিন, তা খুব ভালো করে জানেন। এ বার সেটা আর চাইছেন না। বিশ্বের ২ নম্বর টেনিস প্লেয়ার জেরেভ কিন্তু কঠিন প্রতিপক্ষ। জোকার সেটা খুব ভালো করেই জানেন। তাই প্র্যাক্টিসে নেমে চোটের ঝুঁকি না বাড়িয়ে নিজেকে ফ্রেশ রাখতে চাইছেন। যাতে সেমিফাইনালের লড়াই টপকানোর জন্য সেরাটা দিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − five =