বেআইনি নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না, দিন পাঁচেক আগেই লিলুয়ার বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় স্পষ্ট ভাষায় নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। লিলুয়ার মামলাটি ছাড়াও খড়দায় বেআইনিভাবে দখল করা জমিতে ক্লাবঘর সংক্রান্ত মামলায় ক্লাবঘর ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দু’টি নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, ওই দুই নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ আপাতত কার্যকর করতে হবে না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পরই লিলুয়ায় পুলিশের উপস্থিতিতে একটি আবাসনের অবৈধ অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল। তবে এদিন সকালেই হাওড়ার লিলুয়ায় ওই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশে অন্তর্র্বতী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২৯৫ স্কোয়্যার মিটারের একটি বেআইনি নির্মাণ ২৯ নভেম্বরের মধ্যে ভেঙে ফেলতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২৩ নভেম্বর সেই নির্দেশ দেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেন, ‘ভাঙার কাজে কেউ বাধা দিলে তাকে গ্রেফতার করবে লিলুয়া থানার পুলিশ।’ বিচারপতির এই নির্দেশের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়।
পরবর্তী স্থগিতাদেশ আসে এই ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যেই। গত ২৩ নভেম্বর খড়দহের একটি ক্লাবঘরকেও ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। ক্লাবটি বেআইনি জমির উপর নির্মিত বলে মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে। পাল্টা ক্লাবের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, দানের জমির উপর ওই ক্লাবঘরটি তৈরি করা হয়েছে। যদিও বিচারপতি সেই দানের প্রমাণপত্র দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেননি ক্লাবের সদস্যরা। এর পরেই ওই ক্লাবঘর ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এ ব্যাপারে রহড়া থানাকে উদ্যোগী হতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিচারপতির এই নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়েছে, ওই স্থান আগে পরিদর্শন করবে পুরসভা। তার পর সিদ্ধান্ত হবে নির্মাণটি বেআইনি কি না, সে বিষয়ে।