‘নায়ক’-এর স্বত্বাধিকার সত্যজিৎ রায়েরই, সম্মত ডিভিশন বেঞ্চ

‘নায়ক’-এর স্বত্বাধিকারী পরিচালক সত্যজিৎ রায়েরই। প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে এ নিয়ে বিরোধে, বৃহস্পতিবার দিল্লি আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়েই সম্মতি জানাল দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম সেরা ছবি ‘নায়ক’। সত্যজিৎ রায়ের যে সমস্ত কালজয়ী সিনেমা রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। ‘নায়ক’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বাংলার মহানায়ক উত্তম কুমার। এই সিনেমা একজন সুপারস্টারের উত্থান-পতনের গল্প বলে। গল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রটি একটি মহিলা সাংবাদিকের। যে চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শর্মিলা ঠাকুরকে।
এই ছবির চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক ছিলেন সত্যজিৎ রায়। আরডি বনশল প্রযোজিত এই ছবির চিত্রনাট্যের স্বত্বের অধিকার কার? এই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রযোজক সংস্থা। ছবির চিত্রনাট্যের স্বত্বাধিকার সত্যজিৎ রায়েরই, চলতি বছরের মে মাসেই এই রায় ঘোষণা করে দিল্লি আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়েই সম্মতি জানাল দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও।
সম্প্রতি ‘নায়ক’ ছবির চিত্রনাট্যের ভিত্তিতে ভাস্কর চট্টোপাধ্যায়ের লেখা একটি উপন্যাস প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা হার্পার কলিন্স। তার পরেই আদালতে অভিযোগ দায়ের করে ছবির প্রযোজক আরডি বনশলের পরিবার। দাবি ওঠে ছবির চিত্রনাট্যকার সত্যজিৎ রায় হলেও ‘নায়ক’ ছবির প্রযোজক হিসাবে স্বত্বাধিকার তাদেরই। কোনও তৃতীয় পক্ষ ‘নায়ক’ ছবি অবলম্বনে উপন্যাস লিখলে তা বনশল পরিবারের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করা যায় না। তার পরেই আদালতে সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায় ও রে সোসাইটির অনুমতিপত্র জমা দেয় প্রকাশনা সংস্থা হার্পার কলিন্স। জানানো হয়, ‘নায়ক’ অবলম্বনে উপন্যাস প্রকাশের আগে চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের আইনি স্বত্বাধিকারী পরিবারের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। আদালতও সেটাই জানাল স্বত্বাধিকার সত্যজিৎ রায়ের।
দিল্লি আদালত জানায়, ‘নায়ক’ ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সত্যজিৎ রায় নিজে। সেই সৃজনশীল কাজে প্রযোজনা সংস্থার কোনও অবদান ছিল না। তাই চিত্রনাট্যের স্বত্বাধিকারী সত্যজিৎই। তাঁর অবর্তমানে সেই অধিকার রয়েছে তাঁর পুত্র ও পরিচালক সন্দীপ রায় এবং রে সোসাইটির কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − three =