চাঁচল মহকুমার রতুয়ায় গঙ্গা ও ফুলহার নদীর ভাঙন ও বন্যার আগাম পরিস্থিতি তদারকি করলেন জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। শনিবার দুপুরে নদীর ভাঙন পরিস্থিতির তদারকি করেন জেলাশাসক নিতীন সিংঘানিয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব সহ সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। এছাড়াও ছিলেন রতুয়া এবং মালতীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখার্জি ও রহিম বক্সী। এদিন ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষদের সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করেন জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। সেখানে ভাঙন পীড়িত মানুষদের সঙ্গে নানান সমস্যার বিষয় নিয়ে মতামত বিনিময় করেন জেলাশাসক নিতীন সিংঘানিয়া। ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নানান সমস্যার কথা শোনেন জেলাশাসক। সংশ্লিষ্ট এলাকার ভাঙন পীড়িতদের বক্তব্য, এই প্রথম কোনও জেলাশাসক সরাসরি এলাকার ভাঙন ও বন্যার সমস্যা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন। তাতে খুশি স্থানীয় গ্রামবাসীরা। বর্ষার মরশুম শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে গঙ্গা এবং ফুলহার নদীর জল। এই পরিস্থিতিতে ভাঙন ও বনলতা ঠেকাতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সে ব্যাপারেও সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার। পাশাপাশি রতুয়ায় গঙ্গা এবং ফুলহার নদীর ওপারে রয়েছে বিহার রাজ্য। জলপথে অপরাধ দমনে কড়া নজরদারি চালানোর কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। জেলাশাসক নিতীন সিংঘানিয়া বলেন, রতুয়া ১ ব্লকের যে সব এলাকায় মূলত গঙ্গা এবং ফুলহার নদীর ভাঙন হচ্ছে, সেই জায়গাগুলি এদিন পরিদর্শন করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভাঙন ঠেকাতে সেচ দপ্তরকে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৯ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত ভাঙন ঠেকাতে রাজ্য সরকার ২০ কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সেই টাকা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হয়েছে। এদিন ভাঙন এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্ত সমস্যা কথা শোনা হয়েছে। জেলাশাসক আরো বলেন, বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে স্বল্প সময়ের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে সব ব্যাপারেও সেচ দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। প্রশাসনের লক্ষ্য রয়েছে ভাঙন প্রতিরোধে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার।
তৃণমূল বিধায়ক আধুর রহিম বক্সি বলেন, পরিদর্শনের সময় আমরাও পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলাম। তাদেরকে সমস্ত সমস্যার কথা বলা হয়েছে। যেভাবে জেলাশাসক , পুলিশ সুপার এবং সেচ দপ্তরের কর্তারা উদ্যোগ নিয়ে ভাঙন ঠেকানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছেন, তাকে আমরা সাধুবাদ জানিয়েছি।