হাইকোর্টের নির্দেশেও মৃত পিতার চাকরি না পেয়ে হতাশ যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: কোতুলপুর ব্লকের মদনমোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুড়াকাটা গ্রামের দুর্গাপদ পাল পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক। গ্রামের প্রান্তেই মুড়াকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন দুর্গাপদ পাল। হঠাৎ চাকরিরত অবস্থায় ১৯৯৩ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে শিক্ষকতা করতে করতেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারে ছিলেন শিক্ষকের স্ত্রী আর এক নাবালক পুত্র ও তিন নাবালিকা কন্যা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, মৃত শিক্ষক দুর্গাপদ পালের স্ত্রী অঞ্জলি পাল স্বামীর চাকরির জন্য শিক্ষা দপ্তরে আবেদন জানান। অভিযোগ, শিক্ষা দপ্তর তাঁর এই চাকরির আবেদনের নিষ্পত্তি করেনি।
ঘটনাচক্রে ২০০০ সালে মৃত্যু হয় মৃত শিক্ষক দুর্গাপদ পালের স্ত্রী অঞ্জলি পালের। পরে মৃত শিক্ষকের একমাত্র পুত্র প্রভাত কুমার পালের ২০০৮ সালে ১৮ বছর পূর্ণ হলে চাকরির জন্য আবেদন করে শিক্ষা দপ্তরে। প্রভাতবাবুর দাবি, তাঁর এই আবেদনে শিক্ষা দপ্তর কোনও রকম কর্ণপাত না করায় ২০০৯ সালে প্রভাত কুমার পাল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘ ১৪ বছর আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে ৩১ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দেন চার সপ্তাহের মধ্যে প্রভাত কুমার পালকে চাকরি দিতে হবে। এরপর চার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও, শিক্ষা দপ্তর এখনও পর্যন্ত প্রভাতবাবুকে কোনও চাকরি দেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ হয়ে পড়েছেন প্রভাত কুমার পাল।
তাঁর দাবি, সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে আইনি লড়াই লড়েছেন অবশেষে তিনি নিঃস্ব হয়ে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ বেছে নিয়েছেন। দিন আনি দিন খাই প্রভাতকুমার পালের এখন চোখে মুখে শুধুই মাত্র হতাশা। আদৌ কি বাবার চাকরি পাবেন প্রভাত কুমার পাল সেই আশায় বুক বাঁধছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =