বিশ্বকাপ ফুটবল দেখে পরিবারের সঙ্গে নৈশভোজ, ভোরে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ

কলকাতা: বিশ্বকাপ ফুটবল দেখা, পরিবারের সঙ্গে থাওয়া-দাওয়ার পর ভোরবেলা ঘর থেকে উদ্ধার হল কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কী এমন ঘটল যার জেরে এই ঘটনা! প্রাথমিকভাবে অনুমান এটা আত্মহত্যার ঘটনা। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এর পিছনে কোন কারণ থাকতে পারে। তবে ওই ছাত্রীর ডায়েরির পাতায় কোথাও লেখা ছিল ‘কেউ ভালবাসে না’, কোথাও লেখা, ‘কিছু করতে পারছি না।’ লেখা দেখে পুলিশের মনে প্রশ্ন,  তবে কি মানসিক অবসাদের জেরেই চরম সিদ্ধান্ত? নাকি নেপথ্যে অন্য কিছু?

নাকতলার  ফ্ল্যাট থেকে সোমবার সকালে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নেতাজিনগর থানার পুলিশ।জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম রৌণক আহমেদ। বয়স ১৯ বছর। লেডি ব্রাবোর্ন কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে নাকতলা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।

পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার সকালে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মা ডাকতে যান রৌণককে। কিন্তু তিনি কোনও সাড়াশব্দ পাননি। দীর্ঘক্ষণ পর ঘর খোলা সম্ভব হলে উদ্ধার হয় রৌণকের ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় নেতাজিনগর থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সূত্রের খবর, রৌণকের ঘর থেকে একাধিক ডায়েরি মিলেছে। যার কোনওটিতে লেখা, “কেউ ভালবাসে না।” কোথাও আবার লেখা, “কিছু করতে পারছি না।” ফলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অবসাদের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছে ছাত্রী।তবে পরিবারের দাবি, রবিবার রাতেও মেয়ের মধ্যে কোনওরকম অস্বাভাবিকত্ব দেখতে পাননি তাঁরা। একসঙ্গে বসে সকলে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখেছেন। রাতে খাওয়া দাওয়ার সেরেছেন একইসঙ্গে। তারপর সকলে ঘুমতে চলে যান। মাঝের সময়টুকুতে কী এমন ঘটে গেল, যাতে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন রৌণক? এটাই এখন প্রশ্ন।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে কথা বলা হবে মৃতার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে। প্রনয়ঘটিত কোনও অবসাদ ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। রাতে একসঙ্গ হইহই করে খেলা দেখার পর মেয়ের এই পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না রৌণকের বাবা-মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + seventeen =