পরিবর্তনকালে ২০০৯ সালে প্ৰথমবার তৃণমূলের প্রতীকে দাঁড়িয়ে বহু বছর বন্ধ থাকা রাজ্যের সবচেয়ে বড় নৈহাটির গৌরীপুর জুটমিলের চাবি তাঁর কাছে আসে। জিতে এসে সেই বন্ধ মিল খোলার আশ্বাসও তিনি দিয়েছিলেন। আশ্বাসে খুশি হয়ে শ্রমিক মহল্লার বিপন্ন শ্রমিকরা ২০০৯ সালে দু’হাত ভোরে ভোট দিয়ে দীনেশ ত্রিবেদীকে জয়ী করেছিলেন। ২০১৪ সালে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে ফের শাসকদলের প্রার্থী হয়ে রুগ্ন নৈহাটি-গৌরীপুর শিল্পতালুকের হাল ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দীনেশ বাবু জেতার পরও বিন্দুমাত্র হাল ফেরেনি শিল্পাঞ্চলের।
রবিবার বেলায় নৈহাটির বড়মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রুগ্ন শিল্পতালুক নিয়ে নিশ্চুপ রইলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর কথায়, মায়ের কাছে নতুন করে কিছুই চাওয়ার নেই। তবে বেকার যুবকদের চাকরির দরকার আছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মার্চ মাসের গোড়ার দিকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। এমনকী প্রায় দু’বছর তিনি রাজনীতির ময়দান থেকে নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু আচমকা নৈহাটির বড়মা মন্দিরে দীনেশ ত্রিবেদীর পুজো দিতে আসা ঘিরে গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। দীনেশ ত্রিবেদী কি তাহলে ব্যারাকপুর কেন্দ্রের সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী? তা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও এদিন মায়ের মন্দিরে রাজনীতির কথা বলতে তিনি নারাজ ছিলেন। প্রশ্ন এড়িয়ে তাঁর সাফ বক্তব্য ছিল, মায়ের কাছে তিনি শান্তি কামনা করলেন। শান্তি ফিরলেই সব ভালো থাকবে। দীনেশবাবুর সংযোজন, মায়ের ডাকেই তাঁর এখানে আসা। মায়ের আশীর্বাদ পেয়েছি। তবে এটা রাজনীতির কথা বলার জায়গা নয়। এদিন বড়মার মন্দিরে হাজির ছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রূপক মিত্র, বিনোদ গোন্ড, মানস দে-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।