ঘর থেকে মেলা দিলীপের দলিল আসল নয়, দাবি করল নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রসন্ন

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে মিলেছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতিরদিলীপ ঘোষের একটি দলিল। সিজার লিস্টে সেই দলিলের উল্লেখও ছিল। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে শাসকদল তৃণমূলও। এবার দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল উদ্ধারের ঘটনায় প্রথমবার মুখ খুললেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়।
সোমবার আলিপুর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে প্রসন্নর দাবি, ওই দলিলটি আসল নয়। যেটি পাওয়া গিয়েছে সেটি সার্টিফায়েড কপি। ওই দলিলের জন্য দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি বলেও দাবি প্রসন্নর। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ মিডলম্যানের দাবিতে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।
তবে একথা এত সহজে মানতে নারাজ তৃণমূল। এখনও দিলীপ ঘোষকে জেরার দাবিতে সরব তৃণমূল। জেল হেপাজত শেষে সোমবার প্রসন্ন রায়কে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সেই সময় দিলীপ ঘোষের জমির দলিল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সে প্রসঙ্গে প্রসন্ন জানান, তাঁর বাড়ি উদ্ধার হওয়ায় দলিলটি আসল নয়। সার্টিফায়েড কপি। জমির মিউটেশন সংক্রান্ত কাজের জন্য দলিল নিয়েছিলেন। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি তাঁর।
গত বছরের নভেম্বর মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন প্রসন্ন রায়। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ মিডলম্যান বলেই তদন্তেù উঠে আসে। সিবিআই আদালতে প্রসন্নর বাড়ি থেকে পাওয়া জিনিসের সিজার লিস্ট জমা দেয়। ওই সিজার লিস্টের ৮ নম্বর পয়েন্টে দিলীপ ঘোষের জমির দলিলের উল্লেখ ছিল। দলিলটি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। ওই ডিড অনুযায়ী, দিলীপ ঘোষ ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল জনৈক শৌভিক মজুমদারের কাছ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকায় জমিটি কেনেন। যদিও এই ঘটনায় শুরু থেকেই দিলীপকে কেন গ্রেপ্তার করা হবে না, প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছিল তৃণমূল। তবে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, একটা সময়ে ওই আবাসনে তিনি থাকতেন। প্রসন্ন যে কী কাজ করেন তা তাঁর জানা ছিল না। বিদ্যুতের সংযোগ সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য দলিলটি তিনি দিয়েছিলেন প্রসন্নকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 1 =