পেপার লেস ট্রানজাকশনে জোর, বাজেটে ডিজিলকারের কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী সীতারমণ

২০২২ থেকেই বাজেট হয়ে গিয়েছে ‘পেপারলেস’। কাগজের নথিপত্রের বদলে ডিজিটাল ট্যাবলেটে বাজেট পড়তেই বেশি স্বচ্ছন্দ অর্থমন্ত্রী। এবার নাগরিকদেরও ক্ষেত্রেও কাগজপত্র থেকে আরও বেশি ডিজিটাল নথিমুখী যে করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার তা এদিনের বাজেট অধিবেশন থেকে স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই সমস্ত পরিচয়পত্র ও দরকারি নথিপত্র ডিজিটালি সেভ করার জন্য ডিজি-লকার অ্যাপও তৈরি করেছে কেন্দ্র। যেখানে সঞ্চিত রাখা যাবে নাগরিকদের সমস্ত নথি। শুধু তাই নয়, কাগজের নথির মতোই বৈধ এই ডিজিটাল নথিও। অর্থাৎ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ডিজিলকারে সঞ্চিত ডিজি নথিও একই রকম ভাবে ব্যবহার করা যাবে।যাকে বৈধতা দিতে বাধ্য সমস্ত ক্ষেত্র। পকেটে কাগজপত্র রাখার ঝামেলা থেকে যা আপনাকে দিতে পারে অনেকটাই স্বস্তি।

আর ২০২২-২৩ এর কেন্দ্রীয় বাজেটে এই ডিজিলকার নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই আধার কার্ড ও ভোটার কার্ডের আবেদন এবং আধার কার্ড আপডেটেশনের কাজ অনলাইনে শুরু করেছে সরকার। বাড়িতে বসে এক ক্লিকেই করা যায় ঠিকানা পরিবর্তনের মতো বিভিন্ন কাজ।পাশাপাশি প্রায় সব ধরনের ডিজিটাল ট্র্রানজাকশন ও অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেই কেওয়াইসি আপডেটেশনও বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।এবার এই ডিজি-লকারকে কেওয়াইসি-র ওয়ান স্টপ মাধ্যম হিসেবে চালু করতে চলেছে কেন্দ্র। বুধবার বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানান, এবার নাগরিকদের জন্য ওয়ান স্টপ কেওয়াইসি মেইনটেন্যন্স সিস্টেম হিসেবে এই ডিজিলকার গড়ে তুলতে চলেছে সরকার।ডিজিলকার ও আধার এবার থেকে কেওয়াইসি-র প্রয়োজনে ওয়ান স্টপ সলিউশন হিসেবে ব্যবহৃত হবে। শুধু তাই নয়, যে কোনও নথিতে কোনও রকম পরিবর্তন করা হলে, তা আপনাআপনিই দেখা যাবে ডিজি লকার -এর নথিতে। পাশাপাশি সেখান থেকেই সরাসরি বদল করা যাবে নথিপত্রে। আর এখানেই অর্থমন্ত্রী নির্মলার দাবি, এর ফলে ডিজিলকারে আরও বেশি সংখ্যক ডকুমেন্ট মিলবে। এবং তা শেয়ার করাও আগের চেয়ে সহজ হবে।

এখানে বলে শ্রেয়, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এই ডিজিলকার অ্যাপটি। যা নাগরিকদের একটি পাবলিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম প্রোভাইড করে, যেখানে সমস্ত দরকারি নথি সেভ করে রাখতে পারেন ইউজাররা। এমনকী সেভ করে রাখা যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে স্কুল কলেজের সার্টিফিকেটও। যা সেলফ অ্যাটেস্টেড ডকুমেন্টের মতোই বৈধ। একইসঙ্গে অর্থমন্ত্রী এদিন এও জানান, ইতিমধ্যেই বহু নাগরিক ডিজিলকারের নথিতে ভরসা রাখতে শুরু করেছেন। তিনি আশা রাখছেন এই নির্ভরতা আরও বাড়বে আগামী দিনেও। অর্থাৎ, ডিজিটাল বিশ্বের দিকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে চলেছে দেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + 19 =