বাজবল নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। প্রশংসাও। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সেই খেলাতেই অভ্যস্ত। লিডসে প্রথম টেস্টেও বাজবল খেলেছে ইংল্য়ান্ড। এজবাস্টনে দ্বিতীয় ইনিংস থেকেই ব্যাকফুটে যেতে শুরু করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। যা জারি রইল লর্ডসেও। টস জিতে ব্যাটিং নেন ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন বেন স্টোকস। তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। মনে করা হয়েছিল লর্ডসে ঘাসের পিচ, পেস-বাউন্স থাকবে। কিন্তু দেখা গেল অন্য। মন্থর পিচ। প্রথম সেশনে বেশ কিছু হাফচান্স মিস হয়। বাজবল নয়, সনাতনী টেস্ট ক্রিকেটেই ফিরল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।
মন্থর পিচে শুরুতে সমস্যায় পড়েছেন ভারতীয় পেসাররা। বাউন্সও কম। যে কারণে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বল ব্যাটের কানায় লাগলেও ফিল্ডার অবধি পৌঁছয়নি। অবশেষে সাফল্য আসে মন্থর বোলিংয়েই! মিডিয়াম পেসার নীতীশ কুমার রেড্ডিকে আক্রমণে আনেন ক্যাপ্টেন শুভমন গিল। তাঁর প্রথম শিকার বেন ডাকেট। কিছুক্ষণের ব্যবধানেই আর এক ওপেনার জ্যাক ক্রলিকে ফেরান নীতীশই।
এরপর অবশ্য় উইকেটের জন্য দীর্ঘ সময় ধৈর্য ধরতে হয়েছে। মাঝের সেশনটা ইংল্যান্ডের দখলেই ছিল বলা যায়। টি-ব্রেকের পরই অবশ্য দুর্দান্ত সাফল্য়। ব্রেকের পর প্রথম ডেলিভারিতে সেট ব্য়াটার ওলি পোপকে ফেরান রবীন্দ্র জাডেজা। টেস্টে ব্যাটারদের ক্রমতালিকায় শীর্ষে থাকা হ্যারি ব্রুককে বোল্ড করেন জসপ্রীত বুমরা।
ভারতের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ফ্যাব ফোরের অন্যতম জো রুট। কেরিয়ারের ৩৭তম টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে তিনি। প্রথম দিন ইংল্যান্ড ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান তুলেছে। রান রেট ৩-এর সামান্য বেশি। যা বাজবলের ধারেকাছেও নয়।

