তিন আইএসএল ক্লাবকে হারিয়ে ডুরান্ড ফাইনালে ডায়মন্ড হারবার

ডুরান্ড কাপ সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে হারাল ডায়মন্ড হারবার। প্রথমবার ডুরান্ড কাপের মতো ঐতিহাসিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেই ফাইনালে পৌঁছল ডায়মন্ড হারবার এফসি। নকআউট সহ গ্রুপ লিগ মিলিয়ে তিন আইএসএল ক্লাবকে হারাল কিবু ভিকুনার দল। ডার্বি জয়ের পর অধিক আত্মবিশ্বাসী হওয়ার ফল ভোগ করল ইস্টবেঙ্গল। শনিবার ফাইনালে ডায়মন্ড হারবারের প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি।

ম্যাচের প্রথমার্ধে অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করল ইস্টবেঙ্গল। ডায়মন্ড হারবারও সু্যোগ পেয়েছিল, কাজে লাগাতে ব্যর্থ। প্রথম মিনিটেই ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের ভুলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ডায়মন্ড হারবার। চার মিনিটের মাথায় উইং থেকে মিগুয়েলের দৌড়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ২৪ মিনিটের মাথায় ডায়মন্ড হারবারের স্যামুয়েলের শট পোস্টে লাগে। প্রথমার্ধের সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। অত্যধিক আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে ডিফেন্সে লাইনে ভুল করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথম গোল পেল ডায়মন্ড হারবার। গোটা ম্যাচ জুড়ে ডায়মন্ড হারবারের গোলরক্ষক মিরশাদ মিচুর প্রশংসনীয় লড়াই। প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে অসাধারণ গোলকিপিং মিরশাদের। ৬৬ মিনিটে মিকেল কোর্তাজ়ারের গোলে এগিয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার। ফ্রিকিক থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ব্যাক ভলিতে গোল করেন তিনি। দুই মিনিটেই মাথায় সমতায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। আনোয়ার আলি দূরপাল্লার শটে গোল করেন। ৭২ মিনিটে সাউল ক্রেস্পোকে তুলে রশিদকে নামান অস্কার। তাতেও তেমন কিছু বদল হল না ইস্টবেঙ্গলের। ৮৩ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে ডায়মন্ডের হয়ে গোল করেন জবি জাস্টিন। ম্যাচ শেষে রেফারিকে দুষলেন লাল-হলুদ হেড কোচ অস্কার ব্রুঁজো। মাত্র চার বছরের যাত্রা পথে ডুরান্ড ফাইনালে স্বপ্ন সত্যি দিকে এগোচ্ছেন বলে জানালেন ডায়মন্ড হারবার কোচ কিবু ভিকুনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =