দু-দলেরই লক্ষ্য ছিল প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতেই ফাইনাল নিশ্চিত করা। অপেক্ষা করা চাপের। অনেক সময়ই দ্বিতীয় সুযোগে পা হড়কানোর সুযোগ থাকে। গত বারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স এবং চার বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস মুখোমুখি হয়েছিল প্রথম কোয়ালিফায়ারে। এর আগে তিন বার মুখোমুখি হয়েছে দু-দল। তিন বারই জিতেছিল গুজরাট টাইটান্স। কিন্তু প্রথম কোয়ালিফায়ারে চেন্নাই সুপার কিংসের পরিসংখ্যান খুবই ভালো। রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচের অপেক্ষা ছিল। সেটাই হল। ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল টাইটান্স। সেখান থেকে দুর্দান্ত লড়াই রশিদ খানদের। মাহির মস্তিষ্কের কাছে পেরে উঠলেন না। ১৫ রানের জয়ে সরাসরি ফাইনালে সিএসকে। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। চেন্নাই সুপার কিংসের শুরুটা দুর্দান্ত হয়। দ্বিতীয় ওভারেই দর্শন নালকান্ডের বোলিংয়ে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের ক্যাচ নেন শুভমন গিল। উচ্ছ্বাসে ভাসছিলেন। তখনই নো বলের সাইরেন। ঋতুরাজ সে সময় ২ রানে ব্যাট করছিলেন। শেষ অবধি ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ঋতু। দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম বলে ডেভন কনওয়েকে ফিরিয়ে চেন্নাইয়ের বড় রানের সম্ভাবনায় জল ঢালেন মহম্মদ সামি। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭২ রান করে চেন্নাই সুপার কিংস। চিপকের শিশিরের প্রভাব পড়বে এবং রান তোলা কঠিন হবে বলেই মনে করা হয়েছিল। উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়লেও শুভমন গিল ক্রিজে থাকায় ম্যাচে ছিল টাইটান্স। টানা দু-ম্যাচে শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন শুভমন। ১৪ তম ওভারে নতুন স্পেলে শুভমনের উইকেট নেন দীপক চাহার। ১৩৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল টাইটান্স। শেষ চার ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৮ রান। ক্রিজে বিজয়শঙ্কর ও রশিদ খান। ফলে অসম্ভব ছিল না। এ মরসুমেই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ১০ ছক্কা মেরেছিলেন রশিদ খান। প্রায় ২৫০ স্ট্রাইকরেটে ৭৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন। শেষ দু ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫ রান। রশিদ খান বিধ্বংসী মেজাজে। এই ম্যাচেই ফাইনাল নিশ্চিতের স্বপ্ন দেখছিল টাইটান্স। ১৯তম ওভারে তাঁকে ফেরান তুষার দেশপান্ডে। শেষ বলে ১৫৭ রানে অলআউট গুজরাট টাইটান্স।