মোলিনার দল ১৮ তারিখের বড় ম্যাচের আগে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল চির প্রতিদ্বন্দ্বীকে। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে একপ্রকার রিজার্ভ দল নিয়েই স্কোয়াড সাজিয়েছিলেন বাস্তব রায়। এমনকি পরিবর্ত ফুটবলারও ছিলেন হাতে গোনা। ডাউনটাউনের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট তুলতে বেশ কালঘাম ঝরাতে হয়েছিল সুহেল ভাটদের। মোলিনার মোহনবাগান একেবারে আলাদা। গত বছরের চেয়েও আরও অনেক ভয়ঙ্কর। কামিংস, লিস্টনরা তেমনটাই বোঝালেন। বায়ুসেনাকে হাফডজন গোলে (৬-০) উড়িয়ে দিল মোহনবাগান। বড় ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
কামিংস, অ্যালড্রেড দুই বিদেশিকে শুরু থেকে খেলান মোলিনা। বেঞ্চে ছিলেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট, আলবার্তো রডরিগেজ। মোহনবাগান জার্সিতে এদিন অভিষেক হয় আপুইয়ার। খেলার চার মিনিটেই গোলের খাতা খোলেন জেসন কামিংস। বায়ুসেনার রক্ষণের ভুল, মিস পাসের সুযোগ নিয়ে গোল করে যান কামিংস (১-০)। ৬ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় গোল টম অ্যালড্রেডের। লিস্টন কোলাসোর নেওয়া ফ্রিকিক থেকে রিবাউন্ড বলে গোল করে যান অ্যালড্রেড (২-০)। সাহাল আব্দুল সামাদের ঠিকানা লেখা পাস থেকে ৩-০ করেন লিস্টন কোলাসো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই টম অ্যালড্রেডের পরিবর্তে আলবার্তো রডরিগেজকে মাঠে নামিয়ে পরখ করে নেন বাগান কোচ। ৬২ মিনিটে সুহেল ভাট আর আপুইয়ার বদলে আশিস রাই, অনিরুদ্ধ থাপাকে নামান মোলিনা। মাঠে নামার তিন মধ্যেই গোল অনিরুদ্ধ থাপার। সাহাল আব্দুল সামাদ, লিস্টন কোলাসো আর অনিরুদ্ধ থাপার মেলবন্ধনেই চতুর্থ গোল। এরপরই লিস্টনকে তুলে আশিকে মাঠে নামান বাগান কোচ। ৭৬ মিনিটে মনবীর সিংয়ের পাস থেকে ৫-০ করেন কামিংস।
শেষ দশ মিনিটের জন্য মনবীরকে তুলে গ্রেগ স্টুয়ার্টকে নামান বাগান কোচ। ভারতীয় ফুটবলে প্রত্যাবর্তনেই গোল স্টুয়ার্টের। কামিংসের সঙ্গে সুন্দর বোঝাপড়ায় নিখুঁত প্লেসিংয়ে ৬-০ করেন স্টুয়ার্ট। দিমিত্রি পেত্রাতোস আর জেমি ম্যাকলারেন এদিন গ্যালারিতে বসেই দলের জয় উপভোগ করলেন। ২ ম্যাচে মোহনবাগানের ঝুলিতে ৬ পয়েন্ট। গোল পার্থক্য +৭। ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে গোলপার্থক্যে এগিয়ে থাকায় এই মুহূর্তে টেবিল টপার সবুজ-মেরুন।
মোহনবাগানকে মাপতে যুবভারতীতে এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ভয়ঙ্কর বাগানকে দেখার পর ১৮ তারিখের জন্য তাঁকে যে নিখুঁত স্ট্র্যাটেজি বানাতে হবে তা আন্দাজ করতেই পারছেন। বাগানের বিধ্বংসী আক্রমণ বিভাগ চিন্তায় রাখতে বাধ্য ইস্টবেঙ্গলকে। বায়ুসেনাকে হাফডজন গোলে ওড়ানোর পর বড় ম্যাচের আগে একরাশ হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ল মোহনবাগান জনতা।