টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি। ভারতের স্কোয়াড, একাদশ বদলেছে। পারফরম্যান্স নয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। এর মধ্যে কানপুর টেস্টে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং দেখা গিয়েছিল। টেস্টেই যদি ভারতের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ এমন হয়, টি-টোয়েন্টিতে কী হতে পারে, অনুমান করা যায়। যদিও খুব একটা ‘বিধ্বংসী’ ব্যাটিংয়ের প্রয়োজনই পড়ল না ভারতের। বোলারদের অনবদ্য পারফরম্যান্সে ছোট্ট টার্গেটই ছিল। ৪৯ বল বাকি থাকতেই সেই টার্গেটে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। ব্যাট হাতে ভরসা দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। বাঁ হাতি পেসার অর্শদীপ সিংয়ের ধাক্কায় শুরুতেই দুই ওপেনারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্ত ভালো ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু আউটও হলেন ততটাই খারাপ শট সিলেকশনে। ওয়াশিংটন সুন্দরের বোলিংয়ে তাঁকে যেন ক্যাচ প্র্যাক্টিস করান। বাংলাদেশ ইনিংসে সর্বাধিক রান মেহেদি হাসান মিরাজের। ৩২ বলে ৩৫ করেন মিরাজ। ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানেই অলআউট বাংলাদেশ।
প্রত্যাশামতোই অভিষেক শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে সঞ্জু স্যামসন। দু-জনেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট অভিষেক। ৭ বলে ১৬ রানে ফেরেন। সঞ্জু স্যামসন ১৯ বলে ২৯ এবং ক্যাপ্টেন স্কাই ১৪ বলে ২৯ রানে ফেরেন। চারে পাঠানো হয় নীতীশ কুমার রেড্ডিকে। পাঁচে হার্দিক। তিন উইকেট পড়ায় অতিরিক্ত তাড়াহুড়োয় নারাজ ছিল ভারতীয় টিম। নীতীশ মূলত অ্যাঙ্কর করলেন। আর হার্দিক ঝড় তোলেন। মাত্র ১৬ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস হার্দিকের। নীতীশ ১৬ রানে অপরাজিত। ৪৯ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় ভারতের।