টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুটা হয়েছিল হতাশায়। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ঘুরে দাঁড়াল ভারত। পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে কামব্যাক। যদিও বড় সুযোগ নষ্ট করল ভারতীয় দল। এ বারের টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছে ভারত। সেই ম্যাচের আগে টি-টোয়েন্টিতে একেবারেই ছন্দে ছিল না নিউজিল্যান্ড। যদিও ভারতের হতাশাজনক ফিল্ডিং, বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে স্নায়ুর চাপে ভোগা, টপ অর্ডার ব্যর্থতায় হার। তাও আবার ৫৮ রানের বিশাল ব্যবধানে। সেই থেকেই ব্যাকফুটে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারত। কিছুটা ফ্রন্টফুটে আসার সুযোগ ছিল। পাকিস্তানকে হারিয়েও সেটা হল না।
গ্রুপ এ-তে ভারতের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে। আর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ইতিমধ্যেই খেলেছে ভারত। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া বড় জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে। নিউজিল্যান্ডও প্রথম ম্যাচ জিতেছে বিশাল ব্যবধানে। গ্রুপে মোট পাঁচটি দল। সেরা দুই দল সেমিফাইনালে জায়গা করে নেবে। গ্রুপ এ-র পয়েন্ট টেবলে ভারত রয়েছে চারে। প্রথম ম্যাচে ৫৮ রানের বিশাল হারের পর ভারতের নেট রান রেট ছিল মাইনাস ২.৯০০। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেট রান রেট পজিটিভ করার সুযোগ ছিল।
অনবদ্য বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তানকে মাত্র ১০৫ রানেই আটকে রেখেছিল ভারত। টিমে পাওয়ার হিটারের অভাব নেই। তেমনই লোয়ার অর্ডারও ভরসা দেওয়ার মতোই। ভারতীয় দল একটু ঝুঁকি নিতেই পারত। নেট রান রেট পজিটিভে আনার জন্য ১১.২ ওভারের মধ্যে রান তাড়া করে জিততে হত ভারতকে। যদিও ভারতীয় শিবিরে সেই চেষ্টাই দেখা যায়নি। ভাইস ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানা ১৬ বলে ৭ রান করেন। আর এক বিধ্বংসী ওপেনার শেফালি ভার্মা ৩২ রান করলেও স্ট্রাইকরেট মাত্র ৯১.৪২! জেমাইমা ২৮ বলে ২৩ রান করেছেন।
দ্রুত রান তোলার চেষ্টা কারও মধ্যেই দেখা যায়নি। বাউন্ডারি ওভার বাউন্ডারি আসবেই, তা নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সুযোগ ছিল সিঙ্গলকে ডাবলে পরিণত করার। ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত ২৪ বলে ২৯ করলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। শেষ অবধি ১৮.৫ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছয় ভারত। আপাতত নেট রান রেট দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১.২১৭। এরপর ভারতের ম্যাচ রয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ভারতের তুলনায় নেট রান রেটে এগিয়ে পাকিস্তান!