কলকাতা : আর জি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা জানিয়ে ও পাশে থাকার জন্য, ভরসা রাখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েও আমজনতার অনাস্থার মুখে কলকাতা পুলিশ। সাধারনত
সামাজিক মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের পোস্টকে স্বাগত জানান নেটনাগরকরা। কিন্তু আর জি কর-কান্ডে চোখে পড়ছে তার সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি।
এ দিন কলকাতা পুলিশ লিখেছে, “পরশু রাতে আর জি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছি আমরা, যাদের মধ্যে পাঁচজনকে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে চিহ্নিত করেছেন আপনারা। বাকি হামলাকারীদের খোঁজও আমরা খুব দ্রুতই পাব বলে আমাদের বিশ্বাস। আরও একবার অনুরোধ, গতকালের পোস্ট থেকে আর কাউকে শনাক্ত করতে পারলে অনুগ্রহ করে জানান। পাশে থাকার জন্য, ভরসা রাখার জন্য ধন্যবাদ।” শুক্রবার বেলা ১০টা ১০ পর্যন্ত ৩৯৩ জনের মন্তব্য এসেছিলো এই পোস্টে।
প্রতিক্রিয়ায় গৌতম মুখার্জি লিখেছেন, “একটা কথা জানতে চাই, আপনারা এই যে পোস্ট দেন ফেসবুকে, তার কমেন্টগুলো পড়েন?” ডঃ অপরাজিতা রাজ মিত্র লিখেছেন, “আমি শুধু ভাবি এই ব্রেন ওয়াশিংটা কোন স্কুলে শেখানো হয়?” মানস হালদার লিখেছেন, “এরা যেই হোক, যে দলের সাথে যুক্ত হোক, সাংবাদিক সম্মেলনে করে ওদের পরিচয় প্রকাশ করা হোক।”
কাকলী রায় লিখেছেন, “গ্রেফতার তো করেছেন বুঝলাম…কিন্তু সত্যিটা জনসমক্ষে আনতে পারবেন যে এই দুষ্কৃতীরা কারা এবং কার নির্দেশে ওই রাতে আর জি করে ভাঙচুর চালিয়েছে? উপর মহলের চাপে সত্যিটা তো আড়ালেই থেকে যাবে…তাহলে আর কী লাভ হবে গ্রেফতার করে? আমরা কিন্তু সাধারণ মানুষ হলেও সব সত্যিটাই বুঝতে পারছি… সেদিন পুলিশের নিস্ক্রিয় ভূমিকাই প্রমাণ করে দিয়েছে যে এই ঘটনার পেছনে কারা আছে…জনগণ বোকা নয় … কারণ কলকাতা পুলিশ এতোটাই দক্ষ যে তাদের কাছে ওই ভাঙচুর ঠেকানোটা নিছক এক মিনিটের কাজ…এই বিশ্বাস ও আস্থা কলকাতা পুলিশের ওপর আছে। কিন্তু সেদিনের ঘটনায় এটাই মনে প্রশ্ন জাগছে যে কেন পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিলো না হাসপাতাল ভাঙচুর করার আগে? চেষ্টা করলেই সেটা তারা পারতো।”
সজল চৌধুরী লিখেছেন, “কলকাতা পুলিশ কি এই ভুল করবে বলে মনে হয়?” মনোজিৎ নামে একজন লিখেছেন, “আর জি কর-কান্ডের পর কলকাতা পুলিশের উপর মানুষের ভরসা উঠতে শুরু করেছে, ব্যাপারটা দেখবেন!”
পার্থসারথী বিশ্বাস লিখেছেন, “যারা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট করে তারা দেশবিরোধী; রঙ না দেখে ন্যায় বিচার হোক।”
সৌম্য চৌধুরী লিখেছেন, “কোন রঙের পতাকার বাহক, সেটা জানান, তবেই তো কে সত্যি কে মিথ্যা প্রমাণ হবে। মানুষকে বুঝতে সাহায্য করুন, আপনারা তো মানুষের সাহায্যর জন্যই আছেন।” সৌমিত্র চ্যাটার্জি লিখেছেন, “কারা এই আন্দোলনকারী? এরা কাদের মদতপুষ্ট? জানান!”