লক্ষ্য ছিল জয়ের হ্য়াটট্রিকে। যদিও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হল না। টস হার, শুরুতেই প্রতিপক্ষ দলের বাঁ হাতি পেসার মার্কো জানসেনের ধাক্কা। সেখান থেকে সামলে ওঠার সুযোগ পায়নি পঞ্জাব কিংস। এরপর মায়াঙ্ক মার্কান্ডের প্রত্যাবর্তন। প্রায় তিন বছর পর আইপিএলে ম্যাচ খেলার সুযোগ। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে নিলেন ৪ উইকেট। মরসুমের প্রথম জয়ের স্বাদ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ব্যাট হাতে তাদের জয়ের নায়ক রাহুল ত্রিপাঠী। তবে ম্যাচের সেরার পুরস্কার উঠল শিখর ধাওয়ানের হাতেই। পঞ্জাবের ব্যাটিং বিপর্যয়েও উজ্জ্বল রইলেন ধাওয়ান। প্রথম ম্যাচে ৪০, দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধশতরানের পর সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৯৯। পঞ্জাব কিংস যে ভাবে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাচ্ছিল তাতে ২০ ওভার ব্যাট করতে পারবে, এমন প্রত্যাশাই ছিল না। ধাওয়ানের সৌজন্যেই তা সম্ভব। দলের ১৪৩-৯ স্কোর, অধিনায়ক ধাওয়ান একাই করলেন ৯৯ রান। খেলা শেষে ধাওয়ান বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করছিলাম। এই অবধিও পৌঁছতে পারব, প্রত্যাশা করিনি। চেষ্টা করেছি ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখার। আশা করি সকলে আমার স্ট্রাইক রেটে খুশি।’ ধাওয়ান ধারাবাহিক রান করলেও গত ম্য়াচে তাঁর স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে শুরুতে প্রভসিমরন বিধ্বংসী মেজাজে থাকায় অ্যাঙ্কর ইনিংস খেলছিলেন ধাওয়ান। প্রভসিমরন ফিরতেই গিয়ার বদলান। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ১৫০ স্ট্রাইকরেটে করলেন ৯৯ রান। জয়ের হ্যাটট্রিক না হলেও ধাওয়ানের পারফরম্যান্স নজরকাড়া। আরও যোগ করলেন, ‘উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়াটা নিঃসন্দেহে হতাশার। পিচ দেখে যেমন মনে হয়েছিল, ঠিক উল্টো হয়েছে। শুরুতে সিম হচ্ছিল। মাঝে মাঝে বল নীচু হয়ে আসছিল। এই ম্যাচটা আমাদের ব্যাটিং আক্রমণের কাছে শেখার ছিল। একটা ম্যাচে এমন হতেই পারে। এমন পরিস্থিতিতেই ভুল ত্রুটিগুলো দেখা যায়। ৯৯ রান করতে পেরে ভালো লাগছে। সত্যি বলতে, আমি ভাবিনি এই অবধি পৌঁছতে পারব।’