পিছিয়ে পড়েও জর্জিয়াকে ৪ গোল দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন জার্মানির সামনে

ম্যাচের শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল স্পেনের পায়ে। প্রথম দিকেই সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন আলভারো মোরাতা এবং রুইজ। কিন্তু জর্জিয়া মরিয়া হয়ে রক্ষণ সামাল দিচ্ছিল।

১৮ মিনিটের মাথায় ডান দিকে বল পেয়েছিলেন খাভিচা কাভারৎস্কেলিয়া। তিনি বক্সে বল ভাসিয়েছিলেন। স্পেনের দুই ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে তা যাচ্ছিল জর্জিয়ারই এক খেলোয়াড়ের কাছে। তার আগেই এগিয়ে এসে স্পেনের রবিন লে নরমাঁ আটকাতে যান। বল তাঁর পেটে লেগে নিজেদের গোলেই ঢুকে যায়। গোলকিপার উনাই সিমনের কিছু করার ছিল না।

গোল খেয়ে গেলেও বল ঘোরাফেরা করতে থাকে স্পেনের ফুটবলারদের পায়েই। গোটা খেলাটাই হতে থাকে জর্জিয়ার অর্ধে। লুই দে লা ফুয়েন্তের দল তিকিতাকার পাশাপাশি প্রেসিং ফুটবল খেলে অভ্যস্ত। জর্জিয়ার বিরুদ্ধে সেই কৌশল নিয়ে নামলেও গোলমুখ খুলতে পারছিল না। সেই সুযোগ আসে ৫০ মিনিটে। বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রিকিক পেয়েছিল স্পেন। লেমিনে ইয়ামালের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন মামাদাশভিলি। সেই বল ঘুরে আসে ইয়ামালের পায়ে। এ বার তাঁর নিখুঁত ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন রুইজ।

খেলা যত এগোতে থাকে স্পেনের আক্রমণ ততই ধারালো হতে থাকে। ৭৫ মিনিটে গোল করেন নিকো উইলিয়ামস। গোল শোধ করার লক্ষ্যে জর্জিয়ার প্রায় গোটা দলই উঠে গিয়েছিল স্পেনের অর্ধে। নিজেদের পেনাল্টি বক্সের বাইরে বল পেয়ে উইলিয়ামসকে বল বাড়িয়েছিলেন রুইজ। একাই সেই বল টেনে নিয়ে গোল করেন উইলিয়ামস।

মিনিট দশেক পরে চতুর্থ গোল করে স্পেন। নিজেদের অর্ধে বল ক্লিয়ার করতে পারেননি জর্জিয়ার ডিফেন্ডারেরা। সেই বল ঠিক বক্সের বাইরে গিয়ে পড়ে দানি ওলমোর পায়ে। নিচু শটে গোল করেন স্পেনের ফুটবলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − ten =