বাদল অধিবেশন থেকে ডেরেকের সাসপেনশন প্রত্যাহার

রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে কি সাসপেন্ড করা হয়েছে? না কি করা হয়নি? এই নিয়েই একটি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তৃণমূলের আর এক সাংসদ তথা মুখপাত্র সাকেত গোখলে টুইটে দাবি করেন, ডেরেককে এখনও সাসপেন্ড করা হয়নি। এদিকে খবর, ডেরেক ও’ব্রায়েনের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন রাজ্যসভার অধ্যক্ষ তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। ১২.৪৫ পর্যন্ত সভা মুলতবি করে দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যসভার কার্যক্রম ফের শুরু হতেই অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় জানান, তৃণমূল সাংসদকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়নি। কারণ তাকে বরখাস্ত করার প্রস্তাবে ভোটাভুটি হয়নি।

মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। বিরোধীরা মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবি জানায়। প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশনের গোড়াতেই ২৬৭ ধারায় লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সব কর্মসূচি বন্ধ রেখে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনা-সহ মণিপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিস দিয়েছিল কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিরোধী দল। মঙ্গলবারও সেই একই দাবিতে সরব হন ডেরেক।

এর পরই ডেরেকের বিরুদ্ধে ‘অসংসদীয় আচরণ এবং চেয়ারকে অবমাননা’র অভিযোগ তুলে তাঁকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব রাখেন বিজেপি সাংসদ পীযূষ গয়াল। বিজেপি সাংসদের এই প্রস্তাবে তৃণমূল সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। তার পরই ডেরেককে সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান। তাঁকে রাজ্যসভা ছেড়ে বেরিয়ে যেতেও বলেন।

অন্যদিকে, রাজ্যসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ডেরেকের সাসপেন্ডের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। এখনও ঝুলে রয়েছে বিষয়টি। এর আগেও গত শুক্রবার তৃণমূল সাংসদকে সতর্ক করেছিলেন চেয়ারম্যান ধনখড়। তখন তাঁকে উদ্দেশ্য করে চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘নাটক করা আপনাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 5 =