রনজি ট্রফিতে দুরন্ত ছন্দে এগিয়ে চলেছে বাংলা। মঙ্গলবার মাঠে নেমেই রেলওয়েজকে কার্যত চোখের পলকে গুঁড়িয়ে দিল শাহবাজ আহমেদদের বোলিং ঝড়। এক ইনিংস এবং ১২০ রানের ব্যবধানে রেলওয়েজকে বেলাইন করে দিয়ে ৭ পয়েন্ট পকেটে পুরল বঙ্গ ব্রিগেড। ব্যাটে-বলে অনবদ্য পারফরম্যান্সে অনুষ্টুপ মজুমদার, শাহবাজ আহমেদ, রাহুল হরি প্রসাদদের হাতে ভর করে এই জয় আরও একবার প্রমাণ করল— বাংলার দল এখন আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে।
প্রথমে ব্যাট করে ৪৭৪ রানের পাহাড় গড়ে দেয় বাংলা। অধিনায়ক অনুষ্টুপের ১৩০ রানের ইনিংস, সুদীপ ঘরামির অর্ধশতক এবং শেষ দিকে শাহবাজের দ্রুত ৬০ রান বাংলাকে এনে দেয় বড় স্কোরের ভিত। জবাবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২২ রানে গুটিয়ে যায় রেলওয়েজ। বাংলার তরুণ বোলার রাহুল হরি প্রসাদ তুলে নেন দুইটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট, বাকিদের মধ্যে কার্যত একাই আগুন ঝরান শাহবাজ আহমেদ। ফলো অন করতে নেমে রেলওয়েজের ব্যাটাররা আরও বেশি সমস্যায় পড়ে।
মাত্র ১৩২ রানেই শেষ হয়ে যায় দ্বিতীয় ইনিংস। কোনও ব্যাটারই ৩০ রানের গণ্ডি পেরতে পারেননি। শাহবাজের ঘূর্ণির সামনে বিবেক সিং থেকে প্রথম সিং — কেউই দাঁড়াতে পারেননি। তিনি ২২.৫ ওভার বল করে মাত্র ৫৬ রান দিয়ে তুলে নেন ৭ উইকেট। রেলওয়েজের শেষ ৫ উইকেট মাত্র ৪২ রানের মধ্যেই হারিয়ে যায়, তাতেই বাংলার ইনিংস জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়। তৃতীয় দিনের শেষে রেলওয়েজের স্কোর ছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ৯০।
তখন ইনিংস জিততে বাংলার দরকার ছিল আরও ৫ উইকেট। মঙ্গলবার সকালে সেই কাজ সম্পূর্ণ করে নেন শাহবাজরা। এই জয়ে বাংলার পয়েন্ট দাঁড়াল ২০ — চার ম্যাচে দুইটি ইনিংস জয়, একটি ড্র, এবং একটি সামান্য ব্যর্থতা। এই ৭ পয়েন্টের সাফল্যে সি গ্রুপের শীর্ষে এখন বাংলা। ঘরের মাঠে প্রথম দুটি ম্যাচে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল সুমন্ত গুপ্তরা, এরপর ত্রিপুরার বিরুদ্ধে মাত্র ১ পয়েন্টে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কিন্তু রেলওয়েজের বিরুদ্ধে এই জয়ে নকআউটের দৌড়ে বড়সড় লাফ দিল সুদীপ ঘরামির দল। সব মিলিয়ে ব্যাটে-বলে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর এক পারফরম্যান্সে আবারও রনজি ট্রফির মঞ্চে নিজেদের আধিপত্য প্রমাণ করল বাংলা ক্রিকেট দল।

