করোনা কমলেও এ বছর ডেঙ্গুর বাড় বাড়ন্তে প্রশাসনের চিন্তা বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী। সেরেও উঠছেন তাঁরা। কিন্তু শরীর খুব দুর্বল। মুখে রুচি নেই।
এই সময় কী খাবেন তাঁরা সেটা খুব জরুরি।
জল ও ফল- অনেক সময়েই রোগী ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া না করলে শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রার তারতম্য হতে পারে। ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স দেখা যায় শরীরে। সে ক্ষেত্রে সারাদিনে জলে ওআরএস গুলে খেতে পারেন। ওআরএস জলে মেশানোর সময়ে প্যাকেটের গায়ে লেখা পরিমাণ অনুযায়ী জলে মেশাবেন। ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে ছোটদের মধ্যেও। পুষ্টিবিদদের কথায়, একেবারে ব্রেস্ট ফিডিং করার মতো বাচ্চা হলে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি সে পেয়ে যাবে মায়ের বুকের দুধ থেকেই। তা ছাড়াও সকাল-বিকেল দেওয়া যেতে পারে ডাবের জল।
বড়দের ক্ষেত্রে দিনে ২ লিটার জল তো খেতেই হবে। কিন্তু অনেকেই জল খেতে চান না। এক্ষেত্রে রোগীকে ডাবের জল, স্যুপ, হার্বাল টি এই ধরনের জিনিস দেওয়া যেতে পারে।
দ্রুত সেরে উঠতে ফলও জরুরি। ফল খেলে সেই রসেও জলের অভাব মিটবে। তাই সারাদিনের ডায়েটে জল বা তরল জাতীয় খাবার অবশ্যই রাখতে হবে।
তেল-মশাদার খাবার নয়-রোজকার খাদ্যাভ্যাসেও মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। তেলমশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ ডেঙ্গু হলে বা তার পরে পেটের সমস্যা বাড়তে পারে। জ্বর হলে অনেক সময়েই খাবারে রুচি চলে যায়। সে ক্ষেত্রে চাউমিন বা ইনস্ট্যান্ট নুডলসের মতো মুখরোচক খাবার খেতে চায়। এই সময় ঘরের জিনিস রোগীকে দিন। টাটকা শাক সব্জি, মাছ, ডিম। তবে রান্নাটা যেন বেশি তেল মশলার না হয় সেটা অবশ্যই দেখতে হবে।একই সঙ্গে দ্রুত সেরে উঠতে প্রোটিনের পাশাপাশি শাক-সব্জিও জরুরি।
মশলায় রোগ প্রতিরোধ-ঘরোয়া অনেক মশলা আবার রোগপ্রতিরোধকারী।তাই তেল দিয়ে বেশি কষিয়ে, অতিরিক্ত লঙ্কাগুঁড়োর রান্না যেমন রোগীর জন্য সঠিক নয়, তেমনই মশলা ছাড়া রান্নাও সঠিক নয়। কারণ, গরম মশলা যেমন লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, গোল মরিচ সবেরই নিজস্ব গুণ আছে। আবার সাদা জিরে, কালো জিরে, ধনে, আদা, হলুদ এসবই শরীরের জন্য উপকারী। দুধে ভিজিয়ে কাঁচা হলুদ খেলে তা যেমন শরীরকে প্রদাহের থেকে রক্ষা করে, তেমনই ভাইরাসের থেকেও বাঁচায়। ফলে খাবারে পরিমিতভাবে মশলা ব্যবহার করতে হবে। খেতে পারেন টক দই। তবে বাটার বা চিজ় একেবারেই চলবে না।
ড্রাই ফ্রুটস-কিশমিশ, মাখনা, আখরোট, আমন্ডের মতো ড্রাইফ্রুট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। সঙ্গে পেয়ারা, আমলকির মতো সিট্রাস জাতীয় ফলও। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি মেটাতে ডিমের কুসুম খেতে হবে।