ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে হুগলি জেলায়, এবার মৃত্যু হল নাবালিকার

হুগলি জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে শুরু করে এলাকার মানুষকে। ডেঙ্গুর জেড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে হুগলি জেলায়। এবার ডেঙ্গুতে মৃত্যু হল এক নাবালিকার। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বৈদ্যবাটিতে। মৃতের নাম কায়ানাত পারভিন (১৫)। এই নিয়ে হুগলি জেলায় এখনো পর্যন্ত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ডেঙ্গি আক্রান্ত ছয় হাজার ছাড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈদ্যবাটি পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাবালিকা গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। শুক্রবার দুপুরে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। রাতেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। এই বিষয়ে মৃতের এক আত্মীয় জানান, কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল। রক্ত পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রিপোর্ট আনতে গিয়ে ভর্তি করে নেয়। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। পরে রাতেই মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নামে। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। স্থানীয়দের অভিযোগ পুরসভার বিরুদ্ধে। ড্রেন পরিষ্কার ঠিক মতো হচ্ছে না থেকে শুরু করে ড্রেনে গাপ্পি মাছও ছাড়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পাশাপাশি নিয়মিত মশা মারার স্প্রে করা এবং ধোঁয়া দেওয়া দাবি তুলছে স্থানীয় মানুষ। এই বিষয়ে বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো বলেন, এলাকা ঠিকভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে ও তেল স্প্রে করা হচ্ছে। সমস্যা হল মানুষ সচেতন নয়। স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি সার্ভে করতে যাওয়ার সময় তাদের কাছে জ্বর হলে লুকিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই মেয়েটির বাড়িতেও স্বাস্থ্য কর্মীরা গিয়েছিল, তাদেরকে বলা হয়েছিল জ্বর হয়েছিল ভালো হয়ে গিয়েছে। মানুষ রোগ না লুকিয়ে যদি প্রশাসনকে জানায় তাহলে তাকে নিয়ে সে চিকিৎসার সব রকম ব্যবস্থা রয়েছে। জ্বর হলে লুকিয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
দ্রুত পুরসভাকে জানালে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে। সবমিলিয়ে হুগলি জেলা জুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুরপ্রশাসন এক যোগে কাজ শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − five =