রিপোর্টে ডেঙ্গি, ডের্থ সার্টিফিকেটে মাল্টি ওরগান ফেল

বারাসাত: বর্ষা পড়তে না পড়তেই উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল ১৩ বছরের কিশোরীর। বারাসত হাসপাতালে ডেঙ্গির রিপোর্ট পজিটিভ থাকলেও ডের্থ সার্টিফিকেটে মাল্টি ওরগান ফেল লেখা হয়েছে। ফলে এই মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে স্থানীয় বিধায়ক ডেঙ্গিতে মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। পরিবারেরও দাবি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে সায়নিকা হালদারের।

বারাসাত পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাজিপাড়া প্রমোদনগরেই থাকেন সঞ্জয় হালদার। গত শনিবার থেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর মেয়ে সায়নিকা। বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। রক্তের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে সায়নিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়া স্থানান্তরিত করা হয়। পরিবারের লোকজন সায়নিকাকে নিয়ে আসেন কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে। সেখানেই বুধবার রাত ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয়ে সায়নিকা হালদারের। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩। এরমধ্যে জেলা সদর বারাসাতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। আমডাঙা ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ১০। বনগাঁয় ৬, হাবড়া-২ নম্বর ব্লকে ৩ এবং অশোকনগরে ১,বাগদায় ১ এবং দেগঙ্গায়* আক্রান্ত হয়েছেন ২ জন।

এই প্রসঙ্গে বারাসাতের বিশিষ্ট চিকিৎসক বিবর্তন সাহা বলেন, ডেঙ্গি প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকেই আরও বেশি করে সচেতন হতে হবে। এলাকার জমা জল যাতে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখাটাও জরুরি।

স্বাভাবিক ভাবেই বর্ষার মুখে ডেঙ্গি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃষ্ণা সাহা বলেন, আমার ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর একজন আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। কয়েকজনের জ্বর হয়েছে। তাঁদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা হয়নি। আমি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করাতে বলে এসেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + 9 =