কলকাতা: ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশা এডিস ইজিপ্টাই এখন কপালে ভাঁজ ফেলেছে পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের। কারণ, ঘিঞ্জি এলাকার বদলে ফাঁকা জমিকেই ডিম পাড়তেই বেশি পছন্দ করছে ডেঙ্গির মশা। এদিকে ডিসেম্বর মাস পড়ার সঙ্গে ঠান্ডার অনুভূতি মেলায় ডেঙ্গির প্রকোপও অনেকটাই কমেছে আগের তুলনায়। কিন্তু ডেঙ্গির মশার নিজের এই ডেরার প্রকৃতি বদলানো নজরে আসতেই চিন্তা বেডে়ছে কলকাতা পুরসভার। ফলে শীতেও যে ডেঙ্গি নিয়ে যে নিশ্চিন্ত হতে পারবেন তাঁরা তারও কোনও উপায় নেই। বরং ঠিক উল্টো যে পুরনিগমও বেশ সতর্ক অবস্থান নিয়ে চলছে। তবে এরই মাঝে আগামী দিনে ডেঙ্গি মোকাবিলায় মূলত দু’টি লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রথমত, ফাঁকা জায়গাগুলি পরিষ্কার করা। দ্বিতীয়ত, বসতিপূর্ণ এলাকায় বাড়ির উপরের ট্যাঙ্কের ঢাকনা অনেকসময় খোলা থাকে। সেগুলি নিয়ে মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন করা।
এরই পাশাপাশি এই ডেঙ্গির সঙ্গে কী ভাবে লড়াই করা যায় বা কোন নতুন কৌশলে এই ডেঙ্গিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সেই প্রসঙ্গে শনিবার জরুরি বৈঠকে বসছে কলকাতা পুরনিগমে। শুক্রবার আর জি কর হাসপাতাল চত্বরে একথা জানান পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। সঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘উত্তর কলকাতায় ২০ শতাংশ ফাঁকা জমি রয়েছে। দক্ষিণ কলকাতায় ৮০ শতাংশ ফাঁকা জমি। ডেঙ্গির সংক্রমণের অনুপাত দেখলেও দেখা যাবে, উত্তর কলকাতায় ২০ শতাংশ ডেঙ্গি হয়েছে, দক্ষিণ কলকাতায় ৮০ শতাংশ ডেঙ্গি হয়েছে।’ সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘ডেঙ্গির মশা এখন ডিম পাড়ার জন্য জায়গা বদলানোয় রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কৌশলগুলিতেও কিছু বদলের প্রয়োজন।‘ এরই পাশাপাশি অতীন ঘোষ পতঙ্গবিদদের আশঙ্কার কথাও তুলে ধরেন। তিনি জানান, ‘পতঙ্গবিদরা বলছেন, ধরে নিতে হবে ওরা জায়গা পরিবর্তন করছে। ঘিঞ্জি জায়গার বদলে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে ডিম পাড়ছে, যেখানে মানুষ সেভাবে যেতে পারে না।’ সঙ্গে এও জানান, শনিবার কলকাতা পুরনিগমের তরফে এই নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে টাউনহলে। সেখানে কলকাতা পুরনিগমের ১৪৪জন কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য দপ্তরের চিকিৎসক ও পতঙ্গবিদরা উপস্থিত থাকবেন।