দক্ষিণ দমদমের পর এবার ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বিধাননগর পুরনিগমেও। কারণ, ফের সল্টলেকে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল একজনের। মৃতের নাম প্রতিমা মণ্ডল। ১১৫ দত্তাবাদ মেন রোডের বাসিন্দা ছিলেন বছর বাহান্নর প্রতিমাদেবী। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫০ নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রতিমাদেবীর এদিন ডেঙ্গি শক সিন্ড্রমে মৃত্যু হয়। এর আগে বিধাননগরেরই ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের একজন মারা যান ডেঙ্গিতে।
প্রতিমাদেবীর ছেলে জানান, তিন চারদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তাঁর মা। ডেঙ্গি পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর বিধাননগর মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এরপরই এই ঘটনা।
এদিকে বিধাননগর পুরনিগম সূত্রে খবর, এই মরসুমে এখনও অবধি প্রায় ১৮০০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে সল্টলেকের এ-ই ব্লকের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পিনাক সরকার নামে ৬৬ বছরের ওই বৃদ্ধ। চলতি সপ্তাহেই মারা যান তিনি। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে এ-ই ব্লক।
গত মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তিনি জানান, সারা রাজ্যে ২ হাজার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ডেঙ্গি এখন ক্রমশ কমছে। তবে মশারি ব্যবহারে জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। সামান্য জ্বর হলেই ফিভার ক্লিনিকে গিয়ে ডেঙ্গি পরীক্ষা করানোরও পরামর্শ দেন। তিনি জানান, ৫ লক্ষ মশারি বিলি করা হচ্ছে। খুব শীঘ্র ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে আশাবাদী তিনি। আগামী ২ সপ্তাহে ডেঙ্গি অনেকটাই কমবে বলেও আশা মুখ্যসচিবের। আতঙ্কিত নয়, সতর্ক থাকার বার্তা দেন তিনি।