নদী সংস্কারে আর্থিক তছরূপের দাবি, অস্বীকার পুরবোর্ডের, ধরনায় জিতেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: গাড়ুই নদী সংস্কার নিয়ে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। কাগজে কলমে নয়, গাড়ুই নদীকে বাস্তবে সংস্কার করার দাবি তুলে সোমবার আসানসোলের স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে ধরনা অবস্থানে বসলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র।
গাড়ুই নদীর সংস্কারের দাবিতে আসানসোলের ধাদকার মঙ্গল পাণ্ডে সেতুর ওপর একদিনের ধরনায় বসলেন তিনি। সকাল থেকে এই ধরনা শুরু হয়। জিতেন্দ্রর তেওয়ারির দাবি, পুরবোর্ড গঠনের দু’ বছর অতিক্রান্ত হতে চলল। নির্বাচনের সময় প্রতিটি দল তাদের ইস্তেহারে গাড়ুই নদী সংস্কারের কথা বলেছিল। তারপরেও গাড়ুই সংস্কার নিয়ে উদাসীন বর্তমান পুরবোর্ড। এই নদী সংস্কারের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলা হলেও, বাস্তবে সেই টাকার কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই গত দু’ বছরে বর্ষার সময় গাড়ুই নদীর বন্যার কারণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এবছর যদি একজনের প্রাণও যায় তা হলে তার দায়িত্ব পুরসভা ও জেলা প্রশাসনকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন জিতেন্দ্র।
অন্য দিকে আসানসোল পুরসভার বরো চেয়ারম্যান উৎপল সিনহা দাবি করেন, ‘জিতেন্দ্র তেওয়ারি জানেন না গাড়ুই নদী সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। জনসংযোগ থাকলে তিনি একথা বলতেন না। আর্থিক তছরূপের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উৎপল সিনহার কটাক্ষ, উনি তো মেয়র ছিলেন। ওঁর হয়তো এই ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেই একথা বলেছেন। আমাদের এই ধরনের অভিজ্ঞতা নেই। গাড়ুই নদী সাফাই বা পরিষ্কার করার কাজ আমরা পুরোদমে শুরু করেছি।’
উল্লেখ্য, প্রতিবছর রেলপার এলাকায় বৃষ্টিতে গাড়ুই নদীর জল স্তর বেড়ে যায়। সেই জলে বিভিন্ন নিচু এলাকায় জল ঢুকে যায়। যার মধ্যে রামকৃষ্ণডাঙা ডাঙাল, পাঞ্জাবি মহল্লা, তোরি মহল্লা, হাজিনগর, জাহাঙ্গির মহল্লা, বাবুয়াতলা, মুতশুদ্ধি মহলা, নয়া মহল্লা, কসাই মহল্লা। এইসব এলাকার কোনও কোনও বাড়ির একতলা পর্যন্ত জলে ডুবে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 3 =