হাতির হানায় ফসল নষ্টে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না মেলার দাবি, ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গল থেকে ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ফিরতে শুরু করেছে বুনো হাতির দল। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, ফেরার পথেও বিষ্ণুপুর বনবিভাগের বগডহরা বেলশুলিয়া এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যাচ্ছে না। হাতির মুখে প্রতিদিন একরের পর একর জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় চাষি, বন দপ্তরের কর্মী ও হুলা পার্টির সম্মিলিত প্রচেষ্টার পরেও ঠেকানো যাচ্ছে না ক্ষয়ক্ষতি। মিলছে না যথাযথ ক্ষতিপূরণও। ফলে এলাকা জুড়ে ক্রমশই তীব্র হচ্ছে মানুষের ক্ষোভ।
মাস পাঁচেক আগে দলে দলে পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে দলমার হাতি ঢুকে পড়ে বাঁকুড়ায়। বিভিন্ন জঙ্গল ঘুরে হাতির দল বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড় এলাকার জঙ্গলে গত কয়েকমাস ধরে স্থায়ী ভাবে থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিলেন বিষ্ণুপুর, জয়পুর এলাকার আলু চাষিরা। কিন্তু মাস পাঁচেক পর হঠাৎ সেই হাতির দল ফের পশ্চিম মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ফিরতে শুরু করায় নতুন করে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
স্থানীয়দের দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ফেরার পথে বিষ্ণুপুর লাগোয়া বাঁকাদহ ও জয়পুরের জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়েছে হাতিগুলি। দিনের বেলায় হাতিগুলি জঙ্গলে ঘা¥টি গেড়ে থাকলেও সুর্য ডুবতেই জঙ্গল ছেড়ে সেগুলি নেমে আসছে জঙ্গল লাগোয়া ফসলের জমিতে। ইতিমধ্যেই এলাকায় বিঘের পর বিঘে আলু ও সবজির জমি তছনছ করে দিয়েছে হাতির দল।
খবর পেয়ে মাঝেমধ্যে হাতির দলকে ফের জঙ্গলে পাঠাতে হুলা পার্টি সচেষ্ট হলেও বুনো হাতির দলকে বাগে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদেরও। ফলে প্রতিদিন এলাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। এলাকার চাষিদের দাবি, হাতির হানায় ক্ষতির পর সরকারি ভাবে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে, তার অঙ্ক ক্ষতির তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। এই অবস্থায় এলাকা থেকে দ্রুত হাতির দলকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 12 =