২৭ জুলাই অবধি তিহাড় জেলেই কাটাতে হতে পারে অনুব্রতকে। বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, অনুব্রতের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি বুধবার হয় দিল্লি হাইকোর্টে। বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আদালত সূত্রে খবর, এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২৭ জুলাই।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, বুধবার অনুব্রতের জামিন মামলার শুনানিতে বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’র জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চার্জশিট না দেওয়া সত্ত্বেও কেন অনুব্রতকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে বুধবার সে প্রশ্নও তোলেন অনুব্রতের আইনজীবী। দুপক্ষের মধ্যে সওয়াল জবাবও চলে। সব শেষে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তবে এ দিনের শুনানিতে ইডি-কে অনুব্রত সংক্রান্ত মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদলত। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীদের স্ট্যাটাস রিপোর্টের কপি দিতে হবে। আর এই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহ সময়ও দিয়েছে আদালত। অর্থাৎ, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ইডি-কে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গত বছর ১১ অগাস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই মামলায় আর্থিক তছরুপের তদন্তে নামে ইডি। গ্রেফতারের পর আসানসোলের জেলে ছিলেন অনুব্রত। তদন্তের স্বার্থে ইডি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যায়। এর পর তিহাড় জেলেই রয়েছেন অনুব্রত। তবে তিহাড় জেলে থাকতে রাজি নন তিনি। আসানসোলে ফিরে যেতে চেয়ে মামলা করেছেন তিনি। ৩ এপ্রিল রাউস আদালতে ট্রায়াল কোর্টে রয়েছে সেই মামলার শুনানি। আগামী সোমবার সেই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত কী নির্দেশ দেয় তার উপরই নির্ভর করবে অনুব্রতের তিহাড়বাস। এদিকে বুধবারও জামিন হল না অনুব্রতের। ৪ এপ্রিল যদি অনুব্রতের আসানসোলে আসার আর্জি খারিজ হয়, তাহলে আগামী ৪ মাস তিহাড়েই কাটবে অনুব্রতের।