দিল্লিতে দূষণের জেরে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ আপ সরকারের

শীতের মরশুম শুরু হতে না হতেই কুয়াশায় ঢেকেছে রাজধানী। কমেছে দৃশ্যমানতা। দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও। ফলে সব মিলিয়ে পরিবেশ মোটেও ভালো নয় নয়ডা বা গুরুগ্রামের মতো ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নে। দূষণের কারণে মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে শীতের কারণে দিল্লিতে ফের কমেছে বাতাসের গুণগত মান। আর এই পরিস্থিতিতে দিল্লির বাসিন্দাদের ঘরে বসেই কাজ করার পরামর্শ দিল কেজরিওয়ালের সরকার। শুধু তাই নয়, এই প্রবল বায়ুদূষণ রুখতে দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে অ-প্রয়োজনীয় নির্মাণ বা কোনও বাড়ি ভাঙার কাজ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। ১ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স গুরুতর থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঠিক সেই কারণেই দিল্লিবাসীকে বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে।  একইসঙ্গে সরকারের তরফ থেকে পরামর্শ, বাইরে বের হলে কার পুলেই যাতায়াত করা নিরাপদ।

প্রসঙ্গত, দিল্লির বায়ুদূষণের কারণে সরকারি কমিটি শুক্রবার একটি বৈঠক করে। বৈঠকের পর এই কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্থিতিশীল বায়ুমন্ডলীয় অবস্থার জন্য বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে প্রভাব পড়তে পারে। গত ২৪ ঘন্টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৩৯৯-এ। প্রসঙ্গত, এই এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে তা খারাপ বলে বিবেচিত হয়। আবার ৩০১ থেকে ৪০০ – এর মধ্যে থাকলে তা অতি খারাপ বলে বিবেচিত হয় এবং ৪০১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে থাকলে তা গুরুতর অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। কিছুদিন আগেই রাজধানীর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪৩১ – এ দাঁড়িয়েছিল। ওই অবস্থায় প্রাথমিক স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেজরিওয়াল সরকার। দূষণের জেরে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাসের বাইরের কর্মসূচিতেও রাশ টানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি সরকারি দফতরে ৫০ শতাংশ কর্মী আসার নিয়মও চালু হয়েছিল রাজধানীতে। এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্সের কথা মাথায় রেখেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে দিল্লি সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − seven =