নিজের প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করেছে আফতাব পুনাওয়ালা। গত ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। প্রায় ৬ মাস পর পুলিশের জালে সে। এতদিন যাবৎ মৃত শ্রদ্ধাকে জগতের কাছে বাঁচিয়ে রাখতে নানান কৌশল অবলম্বন করেছে সে। নিজের বোনা মিথ্যের জালে নিজেই শেষ পর্যন্ত ফেঁসেছেন। এবার আফতাবের বক্তব্যের সত্য-মিথ্যে যাচাই করতে নার্কো পরীক্ষা করা হবে তার।
দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সাধারণত বড় ধরনের অপরাধে সন্দেহভাজনকে নার্কো পরীক্ষা করানো হয়। মুম্বই বিস্ফোরণে ধৃত পাক নাগরিক আজমল কসাবের এই পরীক্ষা করানো হয়েছিল। ‘নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট’-এ ধৃতের জবানবন্দি আদালতগ্রাহ্য না হলেও এ ক্ষেত্রে তদন্তের সুবিধা হয়। বিচ্ছিন্ন সূত্রগুলি ‘জোড়া লাগাতে’ পারেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
সূত্রের খবর, পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে আফতাব তদন্তকে ভুল দিকে চালিত করতে চাইছে। তাই এই উপায় অবলম্বন করতে চায় পুলিশ। আর পুলিশের এই সিদ্ধান্তে সবুজ সংকেত দিয়েছে সাউথ দিল্লির সাকেতের এক আদালত। পুলিশের সন্দেহ, শ্রদ্ধার ফোন নিয়ে আফতাব আসলে কী করেছে সেই নিয়ে তাদের ক্রমাগত ভুল তথ্য দিয়ে যাচ্ছে সে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় আফতাব পুনাওয়ালা বারংবার তার উত্তর পরিবর্তন করেছে।
পুলিশের প্রশ্নে একবার আফতাব জানিয়েছে, সে মহারাষ্ট্রে শ্রদ্ধার ফোন ফেলে দিয়েছে। আরেকবার পুলিশকে জানিয়েছে, দিল্লিতে শ্রদ্ধার ফেলেছে সে। তাই এই নার্কো পরীক্ষা আফতাবের। এই পরীক্ষায় পুলিশকে সাহায্য় করবেন এক মনরোগ বিশেষজ্ঞ।