গোরু পাচার মামলায় বিনয় মিশ্রকে (Vinay Mishra) পলাতক ঘোষণা করল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। এই মামলায় বারবার তলব করে, নোটিস পাঠিয়ে, এমনকী বাড়িতে লোক পাঠিয়েও খোঁজ মেলেনি বিনয় মিশ্রের। বিশেষ সিবিআই আদালতে এই কথা জানিয়েছিলেন সিবিআই-এর আইনজীবীরা। এরপরই তাঁকে সরকারিভাবে পলাতক ঘোষণা করল আদালত। অর্থাৎ এবার বিনয় মিশ্রকে যে কোনও জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ। এ বিষয়ে ভিনরাজ্য ও ভিনদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে সিবিআইয়ের তরফে, এমনটাই খবর।
ভারতে আর্থিক কোনও অপরাধ করে যারা বিদেশে আশ্রয় নেয়, তাদের ভারতীয় আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যেই ২০১৮ সালে পলাতক আর্থিক অপরাধী আইন প্রণয়ন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনের আওতায় ঘোষিত অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে ইডি। সে সেই সম্পত্তি তাঁর নামে থাক, কি বেনামে। এমনকী অভিযুক্ত কোনও সংস্থার মালিক হলে, সেই সংস্থাও বাজেয়াপ্ত করতে পারে ইডি। ইতিমধ্যেই দেশে থাকা বিনয় মিশ্রের বেশ কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতার রাসবিহারী এলাকায় অবস্থিত ৪ কোটি টাকা মূল্যের বসতবাড়িও।
কয়লা ও গোরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র বর্তমানে প্রশান্ত মহাসাগরের অবস্থিত ভানুয়াতু নামে এক দ্বীপের বাসিন্দা বলে তদন্তকারীদের দাবি। কলকাতা হাইকোর্টে ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, ১ লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করে দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়েছেন বিনয় মিশ্র। ইডির অনুমান দেশের বাইরেও বিনয় মিশ্রের বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে। সেইসব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার লক্ষ্য়েই বিনয় মিশ্রকে পলাতক আর্থিক অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়েছিল।