দিল্লিতে প্রথম হোম ম্যাচে মরিয়া লড়াইয়েও হার। দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। যদিও কম ঘাম ঝড়াতে হয়নি। ম্যাচ কার্যত রাজস্থানের ঝুলিতে। কিন্তু শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং মিচেল স্টার্কের। জয়ের খুব কাছে ছিল রাজস্থান রয়্যালস। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। ব্রিলিয়ান্ট মিচেল স্টার্ক, তেমনই পুরো ম্যাচে নানা ভুল করলেও শেষ ওভারে ফিল্ডিংয়ে অনবদ্য দিল্লি ক্য়াপিটালস। শেষ বলে ২ রান লক্ষ্য দাঁড়ায়। যদিও স্টার্কের ইয়র্কার সামলে ডাবল নিতে গেলেও রান আউট। সিঙ্গলের সৌজন্যে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এই মরসুমে প্রথম সুপার ওভার।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান রয়্যালস। ব্যাটিংয়ে আসেন রিয়ান পরাগ ও শিমরন হেটমায়ার। যদিও ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা নীতীশ রানা কিংবা যশস্বীকে কেন পাঠানো হল না, এই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। মিচেল স্টার্ককে সামলাতে হত এই দুই ব্যাটারের। স্টার্কের মতো অভিজ্ঞ বোলারের কাছে এরকম পরিস্থিতি যে আরও রোমাঞ্চকর, বলার অপেক্ষা রাখে না। ডট বল দিয়ে ওভার শুরু করেন। যদিও দ্বিতীয় ডেলিভারিতে ইয়র্কারের চেষ্টায় লেন্থ মিস। বাউন্ডারি মারেন হেটমায়ার। দ্রুতই ভুল শুধরে নেন। তৃতীয় বলে সিঙ্গল।
রাজস্থানের ভরসা তখন রিয়ান পরাগ। চতুর্থ ডেলিভারিতে স্ট্রাইকে তিনি। মিস হিটে বাউন্ডারি। যদিও বিতর্কিত নো বল, ফ্রি-হিট পায় রাজস্থান। কিন্তু লেগ সাইডের বল রিয়ানের প্যাড ছুঁয়ে কিপারের কাছে। রাহুলের থ্রো-স্টার্ক ধরে উইকেট ভেঙে দেন। রিয়ানের রান আউটে ক্রিজে প্রবেশ যশস্বীর। ২ বল তখনও বাকি। ক্রিজে দুই বাঁ হাতি ব্য়াটার। জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুকের দুর্দান্ত থ্রোয়ে ফের রান আউট। পাঁচ বলেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় রাজস্থান। দিল্লির সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ১২ রান।
এদিকে যেমন স্টার্ককে সামলাতে হয়েছিল, রাজস্থানের হয়ে সুপার ওভারে জোফ্রা আর্চার নাকি সন্দীপ শর্মা, এই নিয়ে জোর আলোচনা। পেস বোলিং কোচ শেন বন্ড দীর্ঘ আলোচনা করেন সন্দীপ ও ক্য়াপ্টেন সঞ্জুর সঙ্গে। দিল্লির হয়ে অভিজ্ঞ লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে পাওয়ার হিটার স্টাবস। সন্দীপ স্লোয়ার বাউন্সারে শুরু করেন। রান আউটের সুযোগ প্রথম ডেলিভারিতেই। যদিও থ্রো ঠিক ছিল না। রাহুল ২ রান নেন। কিন্তু পরের ডেলিভারিতেই স্লোয়ার বাউন্সার ধরে ফেলেন রাহুল, ব্যাকফুটে দুর্দান্ত কাট। বাউন্ডারিতে চাপ কমান। তৃতীয় ডেলিভারিতে দুর্দান্ত ইয়র্কারে সিঙ্গল।
বাকি ৩ বলে ৫ রান প্রয়োজন ছিল। স্ট্রাইকে আসেন স্টাবস। আবারও স্লোয়ার বাউন্সার, পাওয়ার হিটার ত্রিস্তান স্টাবস দ্রুতই তা বুঝে নেন, দুর্দান্ত পুল শটে বল পাঠান গ্যালারিতে। ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন তরুণ তুর্কি স্টাবস।