বিরোধীদের ‘আপত্তি’র মধ্যেই বৃহস্পতিবার দিল্লির আমলাতন্ত্র নিয়ে বিল পাশ হয়ে গেল লোকসভায়। সংসদের নিম্নকক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পরই ওয়াক আউট করেন বিরোধী সাংসদরা।
এই বিল প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইটারে লিখেছেন, ‘বিলটিকে সমর্থনের জন্য ওদের (কেন্দ্রীয় সরকার) একটিও যথার্থ যুক্তি নেই…ওরাও জানে যে, ভুল করছে।এই বিলটা হল দিল্লিবাসীকে ক্রীতদাস করার বিল।মানুষকে অসহায় করবে এই বিল। ইন্ডিয়া তা কখনওই মেনে নেবে না।’
গত ১৯ মে আদালতের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে অধ্যাদেশ জারি করে মোদি সরকার। অধ্যাদেশে বলা হয়, জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির ব্যাপারে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। এর বিরোধিতা করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সরকার। এই অধ্যাদেশ ঘিরে আপ এবং বিজেপির বাগ্যুদ্ধ চরমে। আপের পাশে দাঁড়িয়েছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’।
উল্লেখ্য, দিল্লির আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির রাশ কার হাতে থাকবে—এই নিয়ে জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গত ১১ মে শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মত ভাবে জানিয়েছিল, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। তবে পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা এবং ভূমি দপ্তর সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতেই থাকবে বলে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবারই দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হয় লোকসভায়। সেখানে নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে গিয়ে জওহরলাল নেহরুর নামও টেনে আনেন অমিত শাহ। দিনের শেষে পাশ হয়ে যায় বিতর্কিত বিলটি।